রিফাত উদ্দিন, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামের লেবানন প্রবাসী ২ সন্তানের জননী আকলিমা আক্তার ডলিকে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে প্রবাসী স্বামী আবুল কাশেমকে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিরবার বিকেলে তার পিতা ওমর আলী বাদী হয়ে জামাতা আবুল কাশেমকে আসামী করে থানায় মেয়েকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মরম আলী আটক আবুল কাশেমকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠান।
গত রবিবার সকালে আকলিমা আক্তার ডলির স্বামী আবুল কাশেম তার শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী পাষন্ড আবুল কাশেমকে আটক করে পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ফাঁড়ি বিজিবি সদস্যদের হাতে সোপর্দ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে আশংকাজনক অবস্থায় আখলিমা আক্তার ডলিকে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। রাতে আইসিও থেকে তাকে বেডে নিয়ে আসা হয়েছে। স্বজনরা জানায়, তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শংকা কাটেনি।
জানা যায়, ২০০৪ সালে মাধবপুর উপজেলার শিয়ালউড়ি গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তার ডলির সঙ্গে পাশ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের আব্দুল মওলার ছেলে আবুল কাশেমের বিয়ে হয়। ২০১২ সালের আকলিমা আক্তার ডলি জীবিকার সন্ধানে লেবাননে পাড়ি জমায়। এরপর থেকে স্বামী আবুল কাশেম ও ডলির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডলি লেবানন থেকে বাবার বাড়ি শিয়ালউড়ি গ্রামে এলে স্বামী আবুল কাশেম স্ত্রী ডলির কাছে যায়। কিন্তু ডলি আবুল কাশেমকে এড়িয়ে চলে। ডলিকে স্বামী আবুল কাশেম তার বাড়ি পাচগাঁও নিতে চাইলে ডলি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় আটক আবুল কাশেম জানান, সে ডলিকে ভালবেসে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেছিল। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে ডলি বদলে যায়। এ কারনে সে রাগে ক্ষোভে দুঃখে ডলিকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছিল।