মখলিছ মিয়া, প্রতিনিধি থেকে ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলা সদরে সৈদ্যারটুলা, মাতাপুর ও মজলিশপুরের পঞ্চায়েত এর জলমহাল ও জমি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবারের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা সালিসে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বানিয়াচঙ্গ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ নির্মলেন্দু চক্রবর্তী এবং সদরের ৩ চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বানিয়াচঙ্গ উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে সংঘর্ষে সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম। সালিসানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া খানম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও দেলোয়ার হোসেন (তদন্ত), আওয়ামীলীগ সভাপতি আমির হোসেন মাষ্টার ও সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, ইউ.পি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন ও শাহিবুর রহমান। সংঘর্ষে সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খান, ইউ.পি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া, ছান্দ সর্দার এনামুল হোসেন খান বাহার, আবুল কাসেম খান মবু, হাফিজুর রহমান খান, শেখ আশরাফ হোসেন খান শান্ত, আলী হোসেন চৌধুরী, আবু জাহের খান, শেখ তখলিছুর রহমান, মুস্তাকিম হোসেন, মোঃ মুতাহের মিয়া, শেখ আব্দুল জব্বার, লোকমান মিয়া, আবুল ফজল মিয়া, আয়ুব আলী, মোঃ তাহের মিয়া, খান বাহাদুর আলফু প্রমুখ। সভায় সৈদ্যারটুলা, মাতাপুর ও মজলিশপুরের জাবর জলমহাল ও ছোট বড় ৪/৫টি বিলের বিতর্কিত পঞ্চায়েতি নিলাম কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট জলমহাল এলাকা সালিস কমিটির দায়িত্বে ন্যাস্ত এবং পাঞ্চায়েতি সম্পদ ও ৩ বছরের তহবিল অডিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রক্ষার্থে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সালিস কমিটিতে থাকছেন ইউএনও মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমদ, ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, আমির হোসেন মাষ্টার, ইকবাল হোসেন খান, মোঃ মিজানুর রহমান খান, মোঃ হাবিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২/১ দিনের মধ্যেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এর উপস্থিতি নিশ্চিতের শর্তে প্রকাশ্য সালিস বিচারের স্থান ও দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১০ জুন বুধবার সকালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাতাপুর এলাকায় তিন গ্রামবাসির মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে বানিয়াচঙ্গের ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও দিলোয়ার হোসেনসহ শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়।