শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরিচয় ছাড়া মিলে না চিকিৎসা ॥ ১ সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন বৃদ্ধ নির্বাচন হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি বানিয়াচঙ্গে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ নবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাসায় চুরি ॥ টাকা-স্বর্ণালংকারসহ ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট বানিয়াচংয়ে ফ্রি চক্ষু শিবির উদ্বোধন করলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরী হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৩ আসামি গ্রেপ্তার মাধবপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন জুমার খুৎবায় মাওলানা মাসরুরুল হক ॥ মানুষের দোষ ত্রুতি অন্বেষন করা থেকে বিরত থাকতে হবে বানিয়াচংয়ে সেনা অভিযানে ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী আটক হবিগঞ্জে বিজিবির ৬ দিনের অভিযানে ৬৪ লক্ষ টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ

জেলায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ ড্রপ ও সানগ্লাসের দাম বৃদ্ধি

  • আপডেট টাইম বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৭২ বা পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দুই কারণেই হয়ে থাকে রোগটি। অনেক সময় ঘুম থেকে উঠলে চোখে একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করে। আবার সবকিছু ঘোলাটে দেখা, পানি পড়া, চোখের কোণায় ময়লাও জমে। কোনো ব্যক্তির এমন হলে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত বলা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বছরের এই সময়টায় চোখ উঠা একটি সাধারণ সমস্যা। এবারও হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকাতে রোগটির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চক্ষু হাসপাতাল ও ফার্মেসীতে ভিড় বেড়েছে। তবে এ সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা চোখের ড্রপ ও সানগ্লাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই থেকে তিন গুণ দাম রাখা হচ্ছে একেকটি সানগ্লাসের। ফলে বিপাকে পড়েছেন অনেকে।
চুক্ষ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘চোখ ওঠা রোগ স্বাভাবিক একটি বিষয়। বাচ্ছাদের মধ্যে আগে বেশি দেখা যেত, তবে এখন সব বয়সেরই হচ্ছে। জনসংখ্যা বেড়েছে, সাথে কর্মজীবী। তাই ধুলাবালির সংস্পর্শে আসার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে এই রোগ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কিছুদিন ঘরে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যায়।’
চিকিৎসকরা আরও বলেন- ‘এই রোগটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দুই কারণেই হতে পারে। যাদের চোখ জ্বালাপোড়ার সঙ্গে ময়লা আসে তাহলে সেটা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। একে বলে ব্যাকটেরিয়াল কন্জাঙ্কটিভাইটিস। আর শুধু ভাইরাল ইনফেকশন হলে চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং লাল হলে হয়ে যায়। এেেত্র চোখে হাত দেয়া যাবে না। এলার্জি হয় এমন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।’
একজন মেডিক্যাল অফিসার বলেন, ‘যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, তাই যতটা সম্ভব আইসোলেশনে থাকা ভালো। ছোঁয়াচে এবং বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় বলে লোকজন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। সানগ্লাস পরে থাকতে হবে। চুলকানি হলে রোগী ঠান্ডা এবং এলার্জিজনিত রোগের ওষুধ খেতে পারেন। চোখের কিছু ড্রপ রয়েছে, ডাক্তাররা সেগুলো সাজেস্ট করেন। তবে অনেকেই বার বার চোখে হাত দেয় বা চুলকায়। এতে চোখের তি হতে পারে। তবে ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই। সাধারণ ৩ থেকে ৪ দিনেই এটি ভালো হয়ে যায়।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2021 HabiganjExpress.Com
Design and Development BY ThemesBazar.Com