স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ–বাহুবল) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সমাজসেবক যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ শামীম আহমদ। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কৃতি সন্তান এবং এলাকায় মাটি ও গণমানুষের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় শেখ শামীম আহমদ গরিব-দুঃখী ও মেহনতি মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তাঁর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে শেরপুর দক্ষিণপাড় ক্লিনিক (নবীগঞ্জ), যেখানে তিনি দাতা হিসেবে সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ সহজে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।
এছাড়া নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল ও কলেজে নিয়মিত অনুদান দিয়ে আসছেন তিনি। ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের সুনামধন্য স্বস্থিপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসার প্রথম তলা ভবন নির্মাণে ও নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউটে তাঁর আর্থিক সহায়তা রয়েছে। পাশাপাশি পুরানগাঁও মাদরাসাসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদানের অংশ হিসেবে শেখ শামীম আহমদ শেরপুর আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং এনায়েত খান মহিলা কলেজের দাতা সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
আউশকান্দি ও আশপাশের এলাকায় গরিব, নিম্নআয়ের ও মধ্যবিত্ত মানুষের কল্যাণে চক্ষুশিবির আয়োজন, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা মানবিক কার্যক্রমেও তিনি নিয়মিত যুক্ত রয়েছেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই শেখ শামীম আহমদ দীর্ঘদিন সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। গণমানুষের সুখ-দুঃখে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং উন্নয়নমুখী চিন্তাভাবনার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তিনি ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে শেখ শামীম আহমদ জানান, আমি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, নবীগঞ্জ–বাহুবলের সাধারণ মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে দীঘলবাকসহ এই অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে গিয়ে আমি বুঝেছি—স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও ন্যায়বিচারই এই এলাকার সবচেয়ে বড় চাহিদা। সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে এসব খাতে বাস্তবভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিকে আমি ক্ষমতার হাতিয়ার নয়, বরং সেবার মাধ্যম হিসেবে দেখতে চাই। গরিব, মধ্যবিত্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কণ্ঠস্বর সংসদে তুলে ধরাই আমার মূল লক্ষ্য। এলাকার প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়ন এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি আমার অগ্রাধিকার।