শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

০৮ ডিসেম্বর ১৩ইং পত্রিকার সকল সংবাদ

  • আপডেট টাইম সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩
  • ১০৩৫ বা পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ
কামরুল হাসান
মুক্তিযুদ্ধ নয়, যেন জনযুদ্ধ। গ্রাম-গঞ্জের কৃষক শ্রমিক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ, সেনা সদস্য, সর্বোপরি আপামর জনতা যে যেভাবে পারে পাক-বাহিনীর মোকাবেলা করেছে। দেশের কিছু লোক ছাড়া সবাই মনে প্রাণে চেয়েছে দেশ শত্র“মুক্ত হোক। যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী নারী-পুরুষের আত্মত্যাগের ফলে সফল হয় মুক্তিযুদ্ধ। সফলতার অংশ হিসেবে শায়েস্তাঞ্জবাসীর অবদানও কম নয়।
শায়েস্তাগঞ্জ ছোট্র  একটি অঞ্চল। অঞ্চল ছোট্র হলে এর বিশালতা ব্যাপক। ঐতিহ্যবাহী নানা নিদর্শন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই ছোট্র অঞ্চলটিকে মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলেছে। তেমনি স্বাধীনতা যুদ্ধেও বীরত্বের অধিকার রেখেছেন এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা। খেতাব পেয়েছে বীরবিক্রম থেকে শুরু করে সম্মুখ যুদ্ধে বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। দিন পেরিয়ে এলো ভয়াল কালো রাত। এক দুঃস্বপ্নের রাত। রাইফেল আর ট্যাংকের ভয়ানক শব্দে রাত হল বিভীষিকাময়। পাক জানোয়াররা অতর্কিত হামলা চালায় ঢাকা, চট্রগ্রামসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বড় বড় শহরের নিরস্ত্র জনতার উপর। পাকিস্তানি হায়েনার দল ঝাঁপিয়ে পড়ে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঘুমন্ত মানুষের উপর। ২৬ মার্চ শুরু হলো স্বাধীনতা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জের মুক্তিকামী জনতাও ঘরে বসে নেই। জান-মাল বাজি রেখে যাপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে।
২৯ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে তৎকালিন শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদার হোসেন (প্রয়াত) সভাপতি, ডাঃ মাহতাব উদ্দিন (প্রয়াত) সহ-সভাপতি, নিম্বর আলী তালুকদার (প্রয়াত) সহ-সভাপতি, আব্দুর রেজ্জাক রাজা মিয়া সহ-সভাপতি, সৈয়দ অলিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক, শফিকুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক, আজব আলী (প্রয়াত) সদস্য, আইয়ুব আলী (প্রয়াত) সদস্য, মঞ্জুর হোসেন সদস্য, প্রাণেশ দত্ত সদস্য, ডাঃ মহিউদ্দিন আহমেদ সদস্য, জহিরুল হক (প্রয়াত) সদস্য, এস এম মহসিন সদস্য ছিলেন কমিটিতে।
কমিটিতে উল্লেখিত সদস্যদের মধ্যে দক্ষিণ বড়চর (তালুকহড়াই) গ্রামের শফিকুর রহমান ও পূর্ব বড়চর গ্রামের প্রাণেষ দত্ত সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। আর কমিটির অন্যান্যরা এদ্বতঞ্চলের লোকজনকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য সাহস যুগিয়েছেন। পাশাপাশি যুদ্ধের বিভিন্ন বার্তা যোদ্ধাদের কাছে পৌছাতেন। এ অঞ্চলের অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা দেশ স্বাধীনের জন্য দিয়েছে তাজা রক্ত ও প্রাণ।
সীমাবদ্ধতার কারণে সকলের নাম প্রকাশ করতে না পারলেও সংবাদকর্মী হিসেবে সকলের প্রতি রইল স্বশ্রদ্ধ সামাল।  যাদের কথা না লিখলে আমার লেখাও অসম্পন্ন থেকে যাবে এদেরই একজন শফিকুর রহমান। যুদ্ধের সময় তিনি ছাত্র ছিলেন। তরতাজা যুবক থাকার কারনে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশমাতৃকার টানে যাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। তিনি মুলত গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। ৩নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন আব্দুল মতিনের অধিনে প্রথম পর্যায়ে তেলিয়াপাড়া, শাহজিবাজার, মনতলায় গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। পরবর্তীতে সেক্টরের হেডকোয়াটার হেজামারায় অধিকাংশ সময় কাটান। তার সাথে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন গোড়ামী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আঃ শহীদ তরফদার। আরেক ছাত্রনেতা প্রাণেশ দত্ত। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় আশ্রয় নিলেন। সেখানে আকস্মিকভাবে কমান্ডেট মানিক চৌধুরীর সাথে দেখা হয়। মানিক চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তারই প্রেরণায় করিমগঞ্জে ৫৭নং আসাম বেঙ্গল রেজিমেন্টের মিত্র বাহিনীতে যোগদান করে ১৬৭জন সহযোদ্ধাদের সাথে সক্রিয়ভাবে পাকবাহিনীর সঙ্গে সংগ্রাম করে জকিগঞ্জে অবস্থানরত বেলুচ পাকিস্তানি রেজিমেন্ট ধ্বংস করে ৯ ডিসেম্বর শত্র“ মুক্ত করেন। মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা। শায়েস্তাগঞ্জের উবাহাটা গ্রামের মরহুম কাজী আব্দুল সালামের পুত্র। ১৯৭১ তিনি হাই স্কুলের ছাত্র। এপ্রিল মাসে ছাত্র নেতা দেওয়ান মাহবুবুল হকের সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। পরবর্তীতে ভারতের ত্রিপুরার খোয়াই নামক স্থানে ২২-এম.এফ কোম্পানীতে যোগদান করে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনে ভুমিকা রাখেন। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে ইছালিয়ার সেতু ধবংস করে একঢালায় রাজাকারদের ঘাঁটিতে আক্রমনের পরিকল্পনা করেন। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল পাকবাহিনী একটি টিম শায়েস্তাগঞ্জে আসে। টিমের মেজর সরাফত খাঁন শহরের ডাক বাংলো ও অধিনায়ক আদব খাঁন ঠান্ডা গুদামে পৃথক দুইটি ক্যাম্প তৈরি করে। দিনে-রাতে এলাকার সহজ সরল নিরস্ত্র মানুষের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় পাকবাহিনী। তবে শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় কোন যুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। যুদ্ধ হয়েছে চুনারুঘাটের সীমান্ত ও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে। আর সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত যুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জের বেশ কয়েকজন অংশগ্রহন করেন। অধিকাংশ যোদ্ধারা বিভিন্ন প্রান্তরে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্রিয় অংশ নেন। এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী নেতৃত্বে শেরপুরে যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যান্য যুদ্ধাদের সাথে অংশগ্রহন করেন শায়েস্তাগঞ্জ চরনুর আহমদ (নিজগাঁও) গ্রামের মহফিল হোসেন এবং পূর্ব বড়চর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন। সেখানে সম্মুখ যুদ্ধে পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হন এই দুই বীর সেনানি। ফলে বৃহত্তর সিলেটের প্রথম দুই শহীদ মুক্তিযুদ্ধা তাঁরা দুইজন। তাদের কবরস্থান শায়েস্তাগঞ্জ পূর্ববড়চর প্রাইমারী স্কুলে পাশে দেয়া হয়। শেরপুর যুদ্ধের পর মুক্তিবাহিনীর খাদ্যাভাব দেখা দেয়। কামান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী  সহযোদ্ধাদের নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের খাদ্য গুদামের তালা ভেঙ্গে মুক্তিবাহিনীর জন্য প্রচুর পরিমান মাধ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেন। চুনারুঘাটের সীমান্তে শায়েস্তাগঞ্জের যে কয়জন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন  করেছেন তাদের মধ্যে দাউদনগর গ্রামের আকবর আলী, তারই ছোট ভাই মাহতাব আলী এবং মোতাহির মিয়া। তারা ৩নং সেক্টরের মেজর শফিউল্লাহ ও ক্যাপ্টেন এজাজ হোসেন-এর নেতৃত্বে খোয়াই শহরের দুর্গানগর, পরবর্তীতে চুনারুঘাটের নালমুখ ও একডালা নামকস্থানে পাকসেনাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। এখানে আকবর আলীর পায়ে গুলি লাগলে আহত হন। আজও তার পায়ে গুলির চিহৃ আছে ফলে তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। মে মাসের ১৬ তারিখ ৩নং সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন আজিজুর রহমানের অধীনে চুনারুঘাটের বালুমারা ফরেস্ট বিটের নিকট পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে সাহসিকতা প্রদশর্ণ করে শত্র“দের হাতে শহীদ হন শায়েস্তাগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিন। তাঁর বীরত্বপূর্ন অবদানের জন্য ১৯৭২ সালে ঢাকা সেনানিবাসে রমিজ উদ্দিনের নামে একটি কলেজ নামকরণ করা হয়। আজও সেই কলেজটি স্বাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন। শহীদ রমিজ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের সময় তার উপর অর্পিত দায়িত্বের উর্দ্ধে উঠে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করে ২১জন সহযোদ্ধার প্রাণরক্ষা করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজ সেনা দপ্তরের অনুমোদন ও নির্দেশে রমিজ উদ্দিনকে বীর বিক্রম খেতাবে ভুষিত করে স্টোন স্থাপন করা হয়।
মে মাসের কোন একদিন পাকবাহিনী শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজারে ঢাকাইয়্যা খলিফা নামে খ্যাত তার দুই ছেলে যথাক্রমে জয়নাল ও নুরুকে দোকান থেকে ধরে নিয়ে খোয়াই নদীর ব্রীজের নিকট গুলি হত্যা করেছিল। একই মাসে শহরের বর্তমান আলীগঞ্জ বাজারে খাদ্যগুদামের মহকুমার অফিসার, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক, কেরানী, দুইজন পিয়ন তাদের একজন পিয়নের নাম ছমদ। তাদেরকে গুদাম থেকে ধরে খোয়াই নদীতে গুলি করে হত্যা করে। কদমতলী গ্রামের মুক্তার আলী নামে একজনকে রেলস্টেশন থেকে ধরে শ্রীমঙ্গল নিয়ে যায় পাকবাহিনী। আজও মুক্তার আলীর খবর জানা যায়নি। (এখানে উল্লেখ থাকে যে রেলস্টেশনে পাকসেনাদের সামনে মুক্তার নাম উচ্ছারণ করে তাকে ডাকলে পাকসেনারা মুক্তার শব্দকে মুক্তি মনে করে তাকে ধরে নিয়ে যায়)। জুন মাসে দক্ষিণ বড়চর (তালুকহড়াই) গ্রাম থেকে ইব্রাহিম আলীকে ধরে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। পাকবাহিনীর ধারনা এই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের সাথে ইব্রাহিম আলী যোগাযোগ আছে । জুলাই মাসের কোন এক সময় লালচান্দ চা বাগান থেকে ১১জন চা শ্রমিক তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করে ধরে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের দিঘির পাড় নামক স্থানে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করেছিল। আজও শায়েস্তাগঞ্জের গণকবর স্বাক্ষী হয়ে আছে।
অবশেষে আসে ৭ ডিসেম্বর। শায়েস্তাগঞ্জের মুক্তিকামী যোদ্ধারা বাল্লা ভিপি দখল করেন। একই রাতে আমুরোড হয়ে চুনারুঘাট থানা দখলমুক্ত করেন। রাত ১১টার পর রওয়ানা দেন শায়েস্তাগঞ্জের দিকে। রাত ১২টার প্রথম প্রহরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের ওভারব্রীজের উপর উড়িয়ে দেন লাল-সবুজের পতাকা। এসময় সকল মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দে উল্লাস করে শ্লোগান তুলে ‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’।

সিলেট বিভাগে হরতাল সফল করতে
হবিগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
12স্টাফ রিপোর্টার ॥ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঘোষিত তফসিল বাতিল ও সিলেট বিভাগে আহুত হরতাল সফল করার লক্ষ্যে গতকাল বিকেলে হবিগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল এর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। স্থানীয় কোর্ট পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সারা শহর প্রদক্ষিণ শেষে আরডি হল প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে মিলিত হয়। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমপনা চৌধুরী মাসুদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিনুর রশীদ এমরান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু কাউছার সাজ্জাদ, সালেহ আহমেদ, মোঃ আক্কাস আলী, সাইফুর  রহমান রিপন, সাইফুল ইসলাম রাজ, মোঃ ইকবাল খান, ইলিয়াছ জাবেদ সোহাগ, শাহ হুমায়ূন ইসলাম দিপু, রাজীব আহমেদ, হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান সোহেল, শরীফ উদ্দিন লিটন, তৌফিক আহমেদ, আব্দুল হান্নান সুফল, এডঃ সাফিউল আলম সানী, হারিছ মিয়া, এস এম রমজান, রাসেল আহমদ, এনাম আহমেদ, জি এম রনি, রাসেল মোতাব্বির, আজিম উদ্দিন, আরব আলী, গোলাপ মিয়া, ফজলুর রহমান, মোজাহিদ মিয়া, নুরুল হক উমান, মিলন, সাগর দাস, তারা মিয়া, আয়াত আলী, পারভেজ, মোঃ আরিফ, মোঃ উজ্জল, জসিম উদ্দিন, লিটন দাস, সাদেকুর রহমান রুবেল, প্রসেঞ্জিত, সাদ্দাম হোসেন, অংকুর, মাইকেল, মিথুন, মেরাজ, হৃদয় প্রমুখ।
সভায় বক্তারা স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল বারী বাবু’র নিঃশর্ত মুক্তি, সিলেট জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন লস্কর, হবিগঞ্জ জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এনামুল হক সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুল ওয়াহিদ সোহেল, আব্দুস শহীদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবীতে সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা পালন করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে
হবিগঞ্জ বৌদ্ধ বিহারের শোক
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বের অভিসংবাদিত নেতা নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠ-শ্বর নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে হবিগঞ্জ বৌদ্ধ বিহারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী শনিদেব ও শ্রী শ্রেী মহাদেব মন্দিরে পঞ্চশীলের মাধ্যমে তার আত্মার শান্তি কামনা  করা হয়। এছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রনজিত দাশের আশুরোগ মুক্তি কামনায় পঞ্চশীলের মাধ্যমে পার্থনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দিলীপ কুমার বণিক, এডঃ সুব্রত চক্রবর্তী, এডঃ প্রবাল মোদক, অধ্যক্ষ প্রদীপ্ত খীসা, অধ্যাপক পরিতোষ মন্ডল, ইসকনের প্রভূ প্রবাল দাস গৌর, শনি মন্দিরের সভাপতি ডাঃ দিলীপ আচার্য, বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি সাধন বড়–য়া ও সদস্য সচিব ডাঃ স্বপন বড়–য়াসহ ভক্তবৃন্দ।

নির্বাচন পেছানোর তাগিদ
এক্সপ্রেস রিপোর্ট ॥ বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছে জাতিসংঘ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সফররত বিশেষ দূত ও রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। রাজনৈতিক সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারানকো প্রায় এক ঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেন। পরে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে আরও এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। তারানকো ৫ সদস্যের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা খালেদা-তারানকো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকের কিছু সময় খালেদা-তারানকো একান্ত কথা বলেন। বৈঠকে সব বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তারা একটা ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তারা আবারও বৈঠকে বসবেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, তারানকো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, নির্বাচন পেছানো যায় কিনা। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করতে হবে। তবে যা করতে হয়, সংবিধানের মধ্যে থেকেই করতে হবে। তিনি বলেন, সব দলকে নিয়েই নির্বাচনের চেষ্টা করতে হবে তবে সেটা সংবিধানের মধ্যে থেকেই হতে হবে। তারানকো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সাংবিধানিকভাবেই হবে। তখন তারানকো বলেন, সংবিধান রিস্টোর (পুনঃস্থাপন) করা যায় কিনা। তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আলোচনার দরকার নেই কিন্তু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যায় কিনা তা দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করাটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, সরকার এখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করছে না।
গওহর রিজভী আরও জানান, বৈঠকে তারানকো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেন। তারানকো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ। জাতিসংঘ চায় বাংলাদেশের এই মর্যাদা যেন বজায় থাকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান, জাতিসংঘ চায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সব ধরনের সংঘাত পরিহার করে আলোচনার উদ্যোগ নেবে।
চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে তারানকো দুই নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং সরকার ও বিরোধী দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেন তিনি। এ সময় সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি জাতিসংঘের আগ্রহের কথা জানান। তারানকো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই বর্তমান সংকট নিরসন করতে হবে। সময় খুব কম। তাই রাজনীতিবিদদেরই এই কাজ করতে হবে। তিনি সহিংসতা বন্ধের ওপরও জোর দেন। তারানকো জানান, জাতিসংঘ চায় সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এ পরিবেশের জন্য সংলাপ দরকার। সংলাপের জন্য সব ধরনের উদ্যোগের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। চলমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো শুক্রবার রাতে ঢাকায় এসেছেন। সফরকালে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য দুই দলকে সংলাপে উৎসাহ জোগাতে এটা হতে পারে জাতিসংঘের শেষ উদ্যোগ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট কাটাতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় তারানকোর এটি তৃতীয় সফর। এবার ঢাকা সফরে তারানকো ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সফর শেষে ১০ ডিসেম্বর তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

বাহুবলে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় মিলাদ গাজী
যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে বোমা
মেরে মানুষ হত্যা করছে ’৭১-এর পরাজিত শক্তি
বাহুবল প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী শাহনেওয়াজ গাজী (মিলাদ গাজী) বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে জাতিকে দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। এতে ’৭১-এর পরাজিত শক্তির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা এ বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করতে আন্দোলনের নামে গানপাউডার ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি এড. সিরাজুল হক চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক এড, আবুল ফজল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাজ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমদাদুর রহমান মুকুল, বাহুবল উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক এডঃ জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদ, সোহেল আহমেদ কুটি ও আব্দুল কদ্দুছ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, আওয়ামীলীগ নেতা শাহ আহমেদ আওলাদ, আবুল হাশিম, চা শ্রমিক নেতা পিন্টু দেব, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী, ইলিয়াছ আখঞ্জি, শেখ ফিরোজ মিয়া, নিলুফার ইয়াছমিন, আসকর আলী, আব্দুল মুছাব্বির শাহিন, কামরুজ্জামান বশির, প্রভাষক আফতাব আহমেদ, সাইফুদ্দিন, এখলাছ মিয়া, জমশের আহমেদ, নারায়ন পাল, শামছুদ্দিন তারা মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, ফুল মিয়া, বাহুবল উপজেলা যুবলীগ সভাপতি অলিউর রহমান অলি, সাধারণ সম্পাদক তারা মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগ আহ্বায়ক আব্দুল হাই, যুগ্ম আহ্বায়ক মখলিছুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এনাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন আখঞ্জি, ওলামালীগ আহ্বায়ক মাওঃ এসএম শফিকুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা তরুনলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আয়াত আলী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফারুকুর রশিদ, ইউপি মেম্বার রাহেলা আক্তার প্রমুখ।

সিলেট বিভাগে হরতাল সফল
করতে ওলামাদলের আহ্বান
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃ মোঃ এনামুল হক সেলিমসহ সকল নেতা-কর্মীর উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে আজ রবিবার সিলেট বিভাগে স্বেচ্ছাসেবক দল ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে হবিগঞ্জ জেলা ওলামা দল। জেলা ওলামা দলের সভাপতি ক্বারী মোঃ কবির হোসেন গতকাল শনিবার রাতে সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সমর্থন জানান। একই সাথে তিনি আজকের হরতাল কর্মসূচীকে সফল করার জন্য সকল নেতা-কর্মীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

আঞ্জুমানে খোদদামুল মোসলেমিন ইউকে’র উদ্যোগে
শোহাদয়ে কারবালা মাহফিল সম্পন্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও আঞ্জুমানে খোদদামুল মোসলেমিন ইউকে’র উদ্যোগে গত ২৫ নভেম্বর সোমবার বাদে মাগরিব পবিত্র আশুরা এবং ঈমাম হোসাইনের (রাঃ) শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোহাদয়ে কারবালা মাহফিল পূর্ব লন্ডনের এক হলে অনুষ্টিত হয়। উক্ত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মুজাহিদে আহলে সুন্নাত শামসুল হক কাদেরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল হযরত মাওলানা সোলাইমান খান রাব্বানী। বক্তব্য রাখেন ইসলামী চিন্তাবিদ সাইফুল ইসলাম বাবর, সাবেক ছাত্রনেতা রিদওয়ানুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দস্তগীর আলম, ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা নগরীর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম শাহেদ, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ সুলতান আহমেদ, আবু নছর, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ রেজাউল মোস্তফা, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
মাহফিলে প্রধান অতিথি মাওলানা সোলাইমান খান রাব্বানী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কারবালার ঘটনা বিরল। ঈমাম হোসাইনের (রাঃ) শাহাদাত কেবল ইসলামকে পুনর্জীবন দেয়নি বরং মুসলমানদের সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার শিক্ষা দিয়েছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেক্রেটারীর মুক্তির
দাবীতে হবিগঞ্জে বাবুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন টিপুর মুক্তির দাবীতে জেলা ছাত্রদলের ১ম সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে মিছিলটি বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মালেক ও নকীব ফজলে রকিব মাখনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য গাজী আফজল, আফরোজ মিয়া, মইন উদ্দিন শাহীন, মুস্তাফিজুর রহমান বাবু, কাজী শামছুল হক শিমুল, ফরিদুজ্জামান রনি, জিয়াউর রহমান আলমগীর, মিজানুর রহমান মিজান, সৈয়দ লিঠন, জনি পারভেজ জনি, শেখ মিজান, শাহনুর চৌধুরী সোহান, আব্দুল আজিজ, মকসুদ আলী, এমদাদুল হক চৌধুরী লিটন, বৃন্দাবন কলেজ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান, গোলাম মাহবুব, লেলিনুজ্জামান লেলিন, গোলাম মস্তফা, আব্দুল লতিফ, সহিদ মিয়া, মনির হোসেন, সৈয়দ মাহমুদ, সিরাজুল হক লিঠন, সোহাগ, বৃন্দাবন কলেজ যুগ্ম আহবায়ক হাবিব মীর, কামরুজ্জামান, রাশেদ, নাসির, কমাল, শেখ আজিজ, সুয়েব চৌধুরী, সাইদুর রহমান, হাসানুল হক সৈরভ, শাহিন আহমেদ, জনি, মেরাজ, মইন উদ্দিন, মালেক, রুবেল, শাহ অপু, মোস্তাফিজ, আমিনুল হক আমি, হাবিব, শাওন, সজিব, অধীর গোপ, সুজন রায়, পরান, এনামুল, আবু নাইম, শিবলু, বাপ্পি, সাদী, মিজান, ইমরান, কাশেম, নুরুল হক, জসিম, জুম্মন প্রমুখ।

সোমবার হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব ও সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন টিপু সহ গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আগামী ৯ ডিসেম্বর রোজ সোমবার হবিগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা হয়েছে। উক্ত হরতালকে সফল করার জন্য থানা পৌর, কলেজ সহ সকল ইউনিটকে আহবান জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ ও ১ম সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ।

পইল গ্রামে ভিটেবাড়ি দখল
করতে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ভিটেবাড়ি দখল করার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করাহয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে রোগীর সাথে কথা বলেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব পইল গ্রামের আব্দুল মালিকের ভিটের উপর কু-নজর পড়ে পার্শ্ববর্তী রবি উল্লার ও মুসলিম মিয়ার। এ বিষয়ে সম্প্রতি গ্রামে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিস বৈঠকের রায় আব্দুল মালিকের পক্ষে যাওয়ায় বিচারের রায় অমান্য করে রবি উল্লাহ ও তার লোকজন। শালিসের পর থেকেই রবি উল্লাহ বেশ কয়েক বার ভিটে দখল করতে যায় কিন্তু পারেনি। গতকাল সকালে আব্দুল মালিক বাড়ির বাহিরে অবস্থান করায় হঠাৎ করে বাড়ি দখল করতে গেলে আব্দুল মালিকের স্ত্রী সৈয়দুনেছা ২৫) বাধা দেয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় সৈয়দুনেছা আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আহত সৈয়দুনেছাকে দেখতে সদর মডেল থানার এসআই ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ সময় পুলিশ আহত সৈয়দুনেছার সাথে কথা বলেন এবং ঘটনার সাথে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

নবীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
আজিজ সাময়িক বহিস্কার
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজকে সংগঠনের পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। কেন তাকে চুড়ান্তভাবে বহিস্কার করা হবেনা। তা ১০ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্মলেন্দু দাশ রানা ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী সুমন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, আজিজুর রহমান আজিজ দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে দলীয় প্রার্থী শাহনেয়াজ মিলাদ গাজীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নানামূখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়েছে।

হবিগঞ্জে গো-খাদ্য বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ॥ আটক ১
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার উত্তর নয়াপাড়ায় পিকআপ ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ ফুজাইল হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উত্তর নয়াপাড়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক ফুজাইল হোসেন মাধবপুর উপজেলার খড়কি গ্রামের মাওলানা আবুল হাশেমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তাইবা ফুড প্রোডাক্টস এর গো-খাদ্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্টো ন-১১-৩৫৭৪) হবিগঞ্জ শহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরছিল। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ৭টায় মাধবপুর উপজেলার উত্তর নয়াপাড়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ি গেট এলাকায় দুবর্”ত্তরা গাড়িটিতে আগুন দেয়। এতে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও বেকারী সামগ্রীসহ গাড়িটি পুড়ে যায়। এ সময় গাড়িটির চালক নাসির মিয়া (৪৭) ও তাইবা ফুড প্রোডাক্টস এর বিক্রয় প্রতিনিধি রতন দাস (২৫) গাড়ি থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় মাধবপুর থানা পুলিশ ও মাধবপুর দমকলবাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির আগুন নেভায়। এ সময় আগুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ফুজাইল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।

পৌর আ.লীগে অর্ধশতাধিক
নেতাকর্মীর যোগদান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডঃ নিলান্দ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিরুল ইসলামের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কাউছার আহমেদের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামীলীগ নেতা পার্থ সারথি রায়, ভূবন দত্ত, মোঃ লিজান খান, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমূখ।
যোগদাকারী অন্যান্যদের মধ্যে এমরান আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, করিব আহমেদ, মোহিত মিয়া, নজরুল ইসলাম, মিঠু আহমেদ, মস্তু মিয়া, সানু মিয়া, ফয়সল আহমেদ, জীবন আহমেদসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। যোগদান শেষে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলের
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ কেন্দ্র ঘোষিত ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলের অংশ হিসেবে গতকাল ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া নেতার্মীদের নিয়ে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান কাইয়ূম, সাংস্কৃতি সম্পাদক সাদত হাসান, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আহাদ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজল মিয়া, শাহীন মিয়া, রমজান আলী, সফিক মিয়া, জমির আলী, জিলু মিয়া, রফিক, আলাউদ্দিন, শাহীন আহমেদ, সোনর আলী, সুমন মিয়া, জালাল মিয়া প্রমূখ।

জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের বিক্ষোভ
মিছিলে মটর চালকদলের অংশগ্রহণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ হরতালের সমর্থনে হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেকদলের মিছিলে মটর চালকদলের অংশগ্রহণ।
গতকাল লাখাই উপজেলা মটর চালকদলের আহ্বায়ক তাবারুক মিয়া যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল চৌধুরী মহিউদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেকদলের বিক্ষোভ মিছিলে শতার্ধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল আহাদ, মাঈন উদ্দিন, মোঃ নাঈম, মোঃ শামীম, মোঃ রফিকুল, মোঃ কামাল, মোঃ জামাল, মোঃ জসিম, ডালিম মিয়া, ছায়েদ মিয়া, লিটন দাশ, নিখুল, মোর্শিদ, আশরাফুল, রুবেল, উজ্জল, রাব্বুল, বায়েজিদ, রানা, সোহেল, গাজী প্রমূখ।

বানিয়াচঙ্গে উত্তর অঞ্চলের ৬টি
ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়
পরিষদের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের জাতীয়তাবাদী সমন্বয় পরিষদের নব-গঠিত ৬টি ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির পরিচিতি সভা অণুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল উত্তর সাঙ্গর বাজারে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সংগঠনের সভাপতি আকাদ্দছ হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ মজিবুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায়র শরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মতিউর রহমান। সভার পূর্ব মুহুর্তে মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন। অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মন্নাফ, মইনুল ইসলাম এখলাছ, আবদাল চৌধুরী, জাফর আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল আজিজ চৌধুরী আছকির, খুর্শেদ আলম চৌধুরী পিন্টু, মাফুজুর রহমান তালুকদার, শেখ মোঃ মুজিবুর রহমান, আব্দুল হান্নান, হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সভাপতি মোঃ কোহিনুর আলম, রফিকুল ইসলাম বাহার, শুভ আহমেদ মজলিস, নাজমূল আলম চৌধুরী লোকমান, শহীদুল ইসলাম মাষ্টার, মোঃ তারা মিয়া মেম্বার,  সাইদুর রহমান, জমির উদ্দিন খান উস্তার, চমৎকার বিবি, আজমান মিয়া, আব্দুল কাদির, শুক্রর মোহাম্মদ, মাওঃ আবিদুর রহমান তালুকদার, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইমরান চৌধুরী আজমান, শাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ূন রশিদ, কোহিনুর পাশা, এনামুল হোসেন তালুকদার, নাছির উদ্দিন আফরোজ, মোস্তফা কামাল এপিয়ান, সাইদুল হক রুবেল, রেজাউল করিম, সুমন আহমেদ, শহীদ উদ্দিন, আহাদ খান, ডাঃ আব্দুল হাই, আব্দুল আওয়াল, আশরাফ উদ্দিন দিলাল, রমজান আলী, কামাল হোসেন, জাহের ইসলাম, রুমান মিয়া, মতিউর রহমান, আব্দুল রউফ, শাহীন মিয়া, হাবিবুল্লা ইমরান, শেখ মোঃ রশিদ, আলী হোসেন, মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ফুল মিয়া, নূরুল আমিন, জাহাঙ্গীর আলম, মুর্শেদ কামাল, কাজী জুলহাস, মহিবুর রহমান সুমন, আব্দুল কদ্দুছ, বদরুল আলম চৌধুরী, আবু সৈয়দ মিয়া, কুদরত মিয়া, জাকারিয়া রুবেল, নূরুল আমিন, সালাউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, সমন আলী, নূরুজ্জামান চৌধুরী, ইলিয়াছ তালুকদার, আব্দুল নূর প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ৬টি ইউনিয়নের জাতীয়াতাবাদী শক্তিকে আরো গতিশীল ও জোরদার করার লক্ষে প্রত্যাকটি ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদীদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে শক্তিশালী সমন্বয় পরিষদ গঠনের জোর দাবী জানান। তারা বলেন, স্বৈরাচী হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্য কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাস্তবায়ন  করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে
নবীগঞ্জে জাতীয় পার্টির জনসভা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ নবীগঞ্জের আউশকান্দিতে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি যাত্রী ছাউনী প্রাঙ্গঁনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও যুব সংহতির সভাপতি মুরাদ আহমদ। উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জুল হোসেরনর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইউসুফ আহমদ চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আতাউর রহমান কাপ্তান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আব্দুল বাছিত, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক পার্টির সভাপতি ও পৌর জাপার সদস্য সচিব কমান্ডার এম এ খালেক, জাপা নেতা ফকির ফজলু মিয়া, আল ইসলাহ নেতা খলুক আহমদ চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আউশকান্দি কৃষকপার্টির সহ সভাপতি রাশিদ মিয়া, শ্রমিক পার্টির সাধারন সম্পাদক হালিম হোসেন হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, শাহ আকবর আলী, ওমর আলী, রাজু আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মিনটন তালুকদার, আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ। সভায় শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মশাইদ আলী। সভায় বক্তাগণ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচন বর্জন সহ সকল দলের অংশ গ্রহনে নির্বাচনের দাবীকে স্বাগত জানান। এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচিকে সফল করার জন্য আহবান জানান। সভা শেষে জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শায়েস্তাগঞ্জ মুক্ত দিবস
শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজ ৮ ডিসেম্বর। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ৭১’র এ দিনই শত্র“ মুক্ত হয়েছিল হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ। এ দিন মুক্তিকামী জনতা আকাশে উড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজ পতাকা। মুখে মুখে ধ্বনিত ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালো রাতে হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরুর পর পরই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। বৃহত্তর সিলেটের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মুক্তিবাহিনী উড়িয়ে দেয় শায়েস্তাগঞ্জ খোয়াই সেতু। স্থানে স্থানে রেল লাইনেও প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরই মাঝে ২৯শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই পাক-হানাদার বাহিনী শায়েস্তাগঞ্জ শহরে এসে উপস্থিত হয়। পাকিস্তানী বাহিনী শায়েস্তাগঞ্জে অবস্থান করে সাধারণ মানুষের উপর চালাত নির্মম হত্যাচার। যোগাযোগের জন্য খোয়াই নদীতে ফেরী চালু করে। স্থাপন করে ক্যাম্প।
প্রত্যদর্শীদের বিবরণ থেকে তখনকার সময়ে হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়। তারা জানান, অসংখ্য মানুষকে চোখ বেঁধে বিধ্বস্ত খোয়াই সেতুর উপর থেকে কখনো গুলি করে, আবার কখনো হাত-পা বেঁধে জীবন্ত অবস্থায়ই নদীতে ফেলে দিতো হায়েনার দল। এদিকে সারা দেশের সাথে সড়ক ও রেল এবং নৌ-পথের যোগাযোগের সুবিধার্থে হানাদার বাহিনী এখানে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। ফলে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানের অস্ত্র নিয়ে চোরাগুপ্তা হামলা চালালেও যুদ্ধে এদের সাথে পেরে উঠছিলেন না। অন্যদিকে এখান থেকে ভারত সীমান্ত কাছে থাকায় পাকিস্তানিরা সবসময় ভারী অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত থাকতো। পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর ভয়ে ভীত থাকতো বলে গুপ্তচর সন্দেহে তারা নির্বিচারে অনেক সাধারণ মানুষকেও হত্যা করে বলে অনেকে জানান। অবশেষে আসে সেই মাহীন্দ্রক্ষণ। ১৯৭১ এর ৮ ডিসেম্বর সিলেটের সর্বত্র যুদ্ধে হেরে পাকবাহিনী সড়ক ও রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালাতে থাকে। একই সাথে শায়েস্তাগঞ্জ থেকেও সটকে পড়ে কুখ্যাত হায়েনার দল। দীর্ঘ নয় মাস পর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বিজয় পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। গগণ বিদারী ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শায়েস্তাগঞ্জ শহর।

বানিয়াচঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষায় মান বাড়াতে
তথ্য প্রযুক্তির সহাযোগিতা দেবে বেন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বানিয়াচং এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বেন) কার্যক্রম সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ৪সপ্তাহের কম্পিউটার ট্রেনিং দেয়াসহ এসএসি পরীক্ষার্থীদের অব্যাহত রিভিশন কোর্সে একাধিক অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও আগামী বছরের শুরু থেকে বেন বানিয়াচং উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়ানোর লক্ষে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং করে শিক্ষকদের সরাসরি সহযোগীতা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে বানিয়াচং এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বেন) এর কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বেন-এর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বেন-এর সিইও মুস্তাক আহমেদ, পরিচালক জাহেদ হোসেন খান আজাদ, পরিচালক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন, সমন্বয়কারী আনছার আলী, আইটি প্রশিক্ষক খালেদ সাইফুল্লা পলাশ প্রমূখ।

হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার জিয়ারতের
মধ্যে দিয়ে মিলাদ গাজীর প্রচারণা শুরু
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী  বর্ষীয়ান জননেতা সাবেক মন্ত্রী মরহুম আলহাজ্ব দেওয়ান ফরিদ গাজী পুত্র গাজী মোঃ শাহনেওয়াজ মিলাদ গতকাল হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণে অবস্থিত তার পিতার কবর জিয়ারতের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি বাদ জুমআ মাজার জিয়ারত করেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সুহাইল আহমদ, সাহেদ গাজী, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার, সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম রিপন, ছাত্রলীগ নেতা আলী হোসেন, মোস্তফা উল্লাহ, রুবেল আহমদ। তিনি বিকেলে নিজ এলাকার জনগণের সাথে মত বিনিময় করেন। পরে সন্ধ্যায় বালিধারা গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট মুরব্বী রুসমত আলীর সভাপতিত্বে ও দেবপাড়া ইউপি আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ মন্নানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজী মোঃ শাহনেওয়াজ মিলাদ। বক্তব্য রাখেন, দেবপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা গণি মিয়া, লাল মিয়া, ইস্কান্দর মিয়া, মধু মিয়া, যুবলীগ নেতা সাইফুর রহমান, জুনেদ মেম্বার, দেবপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইকবাল মিয়া, লোকমান খান, আঃ আজিজ মেম্বার, আঃ রহমান, আঃ সত্তার, শাহজাহান, মঈনুল হোসেন প্রমূখ।

নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে
৭ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর
পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক পালন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে গতকাল ৭ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ০৩ (তিন) দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে উল্লেখিত ৩দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংবাদ সম্প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল সরকারি, আধা-সরকারি, শায়ত্বশাসিত ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে ৭ডিসেম্বর হতে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে অর্ধনমিত রাখার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নবীগঞ্জে অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশে শেখ সুজাত এমপি
শেখ হাসিনা’র সরকার দেশকে
ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৮দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। অবরোধ চলাকালে সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে মহাসড়কে স্মরণকালের বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে ১৮ দল। তৃতীয় দফার ৭২ ঘন্টা অবরোধের ১ম দিনে গতকাল শনিবার ভোর থেকেই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির  সদস্য আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া এমপির নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস,তরুণ দল, তাতী দল, জাসাদ, শ্রমিক দল, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ ১৮ দলীয় জোটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে অবস্থান নেয়। অবরোধের কারনে কোন ধরণের যান চলাচল করতে পারেনি। দুপুরে  বিক্ষোভ মিছিল শেষে আউশকান্দি ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ এবাদুর রহমান দারা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদল সভাপতি এটিএম সালামের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া এমপি বলেন, আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান অবৈধ সরকার বাকশালী কায়দায় নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে পুলিশ বাহিনী দিয়ে প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টিসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে। তিনি আরো বলেন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানো যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার পাতানো এক তরফা নির্বাচন বিএনপির একটি কর্মী বেচে থাকতেও করতে দেয়া হবে না। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আশরাফ আলী, মাওঃ মোস্তফা মিয়া, বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বারিক রনি, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক যুবরাজ গোপ, মোর্শেদ আহমদ, বয়েত উল্লা, আব্দুল মুকিত পাঠান, যুবদল আহ্বায়ক আব্দুল বাকির চৌধুরী এমরান, যুবদলের সেক্রেটারী সুহেল আহমদ চৌধুরী রিপন, আব্দুর রকিব, আব্দুল কাইয়ুম, ছাত্রদলের শেখ আবুল কাশেম, খালেদ আহমদ, আব্দুল সাহেদ, আবুল কালাম মিঠু, আবুল হাসনাত আবুল, জাকির চৌধুরী, শেখ শিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জিতু মিয়া সেন্টু, শাহ রুহেল, আজিল চৌধুরী, সাইদুর রহমান, মাহিন আলম মহসিন, মোবারক হোসেন শিপন, বুলবুল আহমদ, শিহাব আহমদ, রুহেল আহমদ, কাজী সেলিম, তরুণ দলের মিনহাজুল ইসলাম সেলিম, এসডি মিন্টু ধর, আব্দুর রকিব, মোবাশ্বীর আলী, আবু শামা সবুজ, রাসেল আহমদ, শাহজান মিয়া, আব্দুল তাহিদ, সাব্বির চৌধুরী।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নবীগঞ্জ
উপজেলা সাংস্কৃতিক কমিটির সভা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নবীগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক উপ কমিটির প্রস্তুতি সভা গতকাল  শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা হল রুমে অনুষ্টিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক উপ কমিটির আহবায়ক ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াছমিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুবোধ চন্দ্র সূত্রধর, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লোকমান আহমদ খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিকবিদ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আমজদ মিলন, জাহাঙ্গীরা রানা গীতি পরিষদের সভাপতি বিপ্লব দাশ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া, সুরকার ওস্তাদ জি,এম সোনা মিয়া, বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী সামস খেলা, গন্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার, গয়াহরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুবেনা বেগম, আনন্দ নিকেতনের সভাপতি কাঞ্চন বনিক, মৈত্রী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, সাংবাদিক মোঃ আলমগীর মিয়া, সবুজ সংকেতের সমীরন দে একতারার সাহেল আহমদ পিন্স, সারেগামার আশরাফ আলী, রাখাল চন্দ্র দেব, প্রমুখ।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের
প্রতিবাদে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বিপ্লবী সভাপতি আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রসিদ হাবিব ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন টিপুর মুক্তির দাবিতে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য মইনুদ্দিন শাহীন, হাজী মহিউদ্দিন মুস্তাফিজ বাবু ও শাহ রাজীব আহমেদ রিংগণ এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি সারা শহর প্রদক্ষিণ শেষে ট্রাফিক পয়েন্ট মোড়ে পথ সভা করে। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য মইনুদ্দিন শাহীন এর সভাপতিত্বে ও শাহ রাজীব আহমেদ রিংগণ এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ আইন সম্পাদক হাজী মহিউদ্দিন মুস্তাফিজ বাবু, নুরুল হক বাচ্চুু, শেখ ওসমান গনি রুমি, এম এল এ লায়েক, সাইফুর রহমান তারেক, আমিনুল হক বাপ্পি, হাবিবুর রহমান আরিফ, নাজমুল হুসেন অনি, শাহ মাজহারুল রাব্বি, নাহিদ আহমেদ, স্বাধীন হাসান, রায়হান আহমেদ, ইমন, রাকিব, শিশির, সৈকত সরকার প্রমুখ ।

নবীগঞ্জের রসুলগঞ্জ বাজারে
ছাত্রদলের অবরোধ কর্মসূচী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বিএনপি ও ১৮ দলের ডাকে টানা ৭২ ঘন্টা অবরোধের প্রথম দিনে নবীগঞ্জের রসুলগঞ্জ বাজারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচী চলছে। গতকাল ভোর থেকে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা সালেউর রহমান সালেহ’র নেতৃত্বে এতে অংশ নেন ছাত্রদল নেতা ইমাদুর রহমান, সুলতান আহমেদ, সুমন আহমদ, জুনেদ মিয়া, আমজাদ হোসেন, সুমন মিয়া, রিপন, মিজুনুর রহমান, রোকন উদ্দিন, সুহেল মিয়া, শুভ, সুজন মিয়া, জাবেদ, সুজন, তারেক, রাজু, মোজাহিদ, ফাহিম, জাহেদ, ফরহাদ, বিলাল, রাসেল, ইজাজুল প্রমুখ।

নবীগঞ্জে থানা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক
দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম বাবুর মুক্তির দাবীতে এবং সিলেট জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক কাদির লস্কর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিমের উপর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে নবীগঞ্জ থানা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বিকালে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার মোড়ে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শিহাব আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক যোশেফ বখ্ত চৌধুরী ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ সেলিম তালুকদারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক যুবরাজ গোপ। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি এটিএম সালাম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল বাকির চৌধুরী এমরান, যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুর রহমান লেবু, সাহাজান চৌধুরী, আব্দুস শহীদ, থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জুয়েল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাহিদ উদ্দিন, মাহি চৌধুরী, জিতু মিয়া সেন্টু, ইসমত আহমদ, ছায়েদ মিয়া, কুহিন চৌধুরী, জাকারিয়া অপু, নুরুল আমীন জুয়েল, সৈয়দ সুমন, শাহ রুহেল, নুর”ল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, রাজিব চৌধুরী, সৈয়দ মোজাহিদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, মিজানুর রহমান চৌধুরী মিতু, হানুর রহমান, ফজলুল হক, জাকিরুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা এসএম নজরুল, এসএম সেলিম, আজাদ চৌধুরী, শেখ নাসির, জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান, মোবারক হোসেন শিপন, কাজী সেলিম, জাবু মিয়া, আনসার মিয়া, সেলিম মিয়া, সামছু মিয়া, এমএ হান্নান প্রমুখ।
সমাবেশে রবিবারের হরতাল স্বর্তস্পূর্তভাবে পালন করার জন্য নবীগঞ্জ বাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2021 HabiganjExpress.Com
Design and Development BY ThemesBazar.Com