স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে ধর্ষণের মামলায় বানিয়াচঙ্গের মক্রমপুর গ্রাম থেকে প্রেমিকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মক্রমপুর গ্রামের মৃত আরফিক খানের ছেলে তৈয়ব খান (২৩), মৃত মনোহর খানের ছেলে আমির খান (৪৫), তাহের খানের ছেলে মামনুন খান (২৬) ও ফাহিম খান (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মক্রমপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী তৈয়ব খানের সাথে একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শাম্মী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে এ প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয়ে উঠে। প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তৈয়ব খানের দোকানে শাম্মী প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার অজুহাতে তার সাথে দেখা করতো। তা ছাড়া পরিবারের লোকজনকে ফাঁকি দিয়ে তারা মোবাইল ফোনে কথা বলতো। এক পর্যায়ে তাদের এ প্রেম সম্পর্ক গভীরতায় রূপ নেয়। দু’জন দুজনকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। তাই একে অপরের সাথে দেখা করতে তারা প্রায়ই হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন হোটেল ও ক্যাফেতে গিয়ে আড্ডা দিতে শুরু করে। রবিবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তারা দু’জন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হবিগঞ্জ শহরের আবাসিক হোটেল রোজ গার্ডেনের একটি রুম ভাড়া নেয়। ওই হোটেলে তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে শাম্মীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ অবস্থায় হোটেল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে শাম্মীর চাচাত ভাই পারভেজ তারা দু’জনকে দেখে ফেলে। বাড়িতে গিয়ে পারভেজ এ বিষয়টি শাম্মীর মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের অবগত করে। এছাড়া বাড়িতে যাওয়ার পর শাম্মীর কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে শাম্মীর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি পুরোভাবে বুঝে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাম্মীর বাবা বাচ্চু মিয়া তার বড় ভাই হবিগঞ্জ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি ও মক্রমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির রেজাকে জানায়। এতে হুমায়ূন কবির রেজাও তৈয়বের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। হুমায়ুন করিব রেজার পরামর্শ মোতাবেক ওই দিন বিকেলে থানায় গিয়ে শাম্মীর বাবা বাচ্চু মিয়া হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওই দিন রাত প্রায় ২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই হারুনুর রশিদ বানিয়াচং থানা পুলিশের সহযোগিতায় মক্রমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তৈয়ব খানসহ তার ৩ সহযোগিকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইকরামুল হোসেন লিমন জানান, গ্রেফতারকৃত তৈয়ব খানের সাথে মেয়েটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ প্রেম সম্পর্ক থেকেই তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এ প্রেক্ষিতে আমরা অভিযুক্ত খান তৈয়বসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি।