এম এ বাছিত, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ও শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আলহাজ্ব মোতাহির মিয়ার মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল তৈরী হয়েছে। ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হলেও মামলা দায়ের হয়নি। এনিয়ে নানামুখী আলোচনায় সরব উপজেলার জনপদ। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ১দিনের শোক কর্মসূচী পালিত হয়েছে। পুলিশ হত্যার অভিযোগে একাধিক অভিযান পরিচলানা করে। নিহতের পরিবার মামলা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করায় সব কিছু থমকে যায়।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, একটি চুরির ঘটনা নিয়ে মোতাহির মিয়ার পাহারাদারকে গালমন্দ করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ১১ মে সোমবার রাতে পৌর এলাকার শাপলাবাগে পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চৌধুরী ও তার এক সহযোগীর সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মোতাহির মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সাথে সাথে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, নিহত মোতাহির মিয়া ইতিপূর্বে একাধিকবার ষ্ট্রোক করে দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নেন। তার একাধিক জটিল অপারেশন হয়। পরিবারের ধারণা হার্ট এট্যাকেই মোতাহির মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
মোকাহির মিয়ার ভাই ইংল্যান্ড প্রবাসী আবুল বশর মামলা দায়েরে অপারগতা প্রকাশ করেন। এনিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল বলেন, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নিহত আওয়ামীলীগ নেতার পরিবার আগ্রহী নয়।
ওসি মোঃ আবদুল বাতেন খাঁন বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। নিহতের পরিবার মামলা দিতে আগ্রহী না হওয়ায় ধুম্রজাল তৈরী হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে দালাল চক্র তৎপর হলেও ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন নিহত মোতাহির মিয়ার পরিবার। অপর দিকে হতাশ হয়েছেন একটি মধ্যস্বত্ত্বভোগী।