স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্কুলের দায়িত্ব ফেলে সংঘর্ষে অংশ নেয়া এবং পুলিশের কাজে বাধা ও দেশীয় অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে লাইব্রেরিয়ানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ওই লাইব্রেরিয়ানের নাম সেলিম মিয়া তালুকদার। তিনি বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর মীরের হাটি গ্রামের মৃত সুলতান হোসেন তালুকদারের ছেলে এবং সুজাতপুর হানিফ খান দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান পদে দায়িত্বরত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বানিয়াচং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি এ জরিমানা করেন। তবে তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুচলেকার মাধ্যমে তিনি ছাড়া পান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বাজুকা গ্রামের নতুন হাটি ও পুরাতন হাটির দুইটি পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। নতুন হাটির পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সালাম মিয়া ও পুরাতন হাটির পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফজলু মিয়া মেম্বার। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নতুন হাটির সালাম মিয়ার পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ পুরাতন হাটির পক্ষের বাড়িতে হামলা চালাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। এ খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার এসআই লোকমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশ দেশীয় অস্ত্র অভিযান শুরু করে। কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারও করে পুলিশ।
এ সময় সুজাতপুর হানিফ খান দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান সেলিম মিয়া তালুকদার পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নিয়ে আসে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেওয়া হলে বিচারক উপরোক্ত দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সুজাতপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি লোকমান হোসেন।
তিনি জানান ইতিপুর্বেও সেলিম তালুকদার তাঁর লোকজন নিয়ে একাধিক ব্যক্তির জমি, সরকারী খাস জমি ও বিভিন্ন জলমহাল জোর পুর্বক দখল করেছে। তাঁর এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা সেলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের উর্ধতন কর্মকতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।