বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা দানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে মারধোর করে অর্থকড়ি লুটের অভিযোগে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান-এর পুত্র, ভাতিজা ও নাতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামুন আহমেদ (২৭) নামে চেয়ারম্যানের এক নাতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। বিষয়টি স্থানীয় জনমনে মুখরোচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মামলার আরজি ও প্রত্যদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, গত এক মাস ধরে বাহুবল উপজেলা লোহাখলা টু ভেড়াখাল শাখা রাস্তার সিসি ঢালাই কাজ করছে শায়েস্তাগঞ্জের মেসার্স সানজিদা এন্টারপ্রাইজ। রাস্তাটি নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ৬০০ ফুট বালু উপজেলা সদর সংলগ্ন মৌচাক পয়েন্টে স্তুপ করে রাখে। পরদিন দুপুরে লোহাখলা গ্রামের আকবর আলীর পুত্র শামসুল হক (৫৫) ওই স্তুপ থেকে ১৩০ ফুট বালু চুরি করে নিয়ে যাবার সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে পুলিশে দিলে, পুলিশ তাকে চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করে। ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শামসুল হক তার চাচাত ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান পুত্র সৈয়দ ইসলাম উদ্দিন ও তাদের ভাগিনা মামুন আহমেদ সহ কয়েকজন লোহাখলা-ভেড়াখাল রাস্তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের উপর চড়াও হয় এবং কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এক পর্যায়ে তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার অত্র উপজেলার বানিয়াগাঁও গ্রামের ইসমাইল হোসেন সহ শ্রমিকদের মারধোর করে। এক পর্যায়ে ইসমাইল হোসেন-এর পকেটে থাকা শ্রমিকদের মজুরীর ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী শায়েস্তাগঞ্জের পূর্ব লেঞ্জাপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল-এর পুত্র আবু নাছের মোহাম্মদ অলিউর রহমানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা ও উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হাসান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পুলিশ, আনসার ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যানের নাতি মৃত আব্দুর রকিব-এর পুত্র মামুন আহমেদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আবু নাছের মোহাম্মদ অলিউর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের পুত্র সৈয়দ ইসলাম উদ্দিন, নাতি মামুন আহমেদ ও ভাতিজা শামসুল হক-এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।