স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ফয়েজ আহমেদ খেলু দীর্ঘ ১০ মাস ধরে পলাতক রয়েছে। ফলে ইউনিয়নের স্বাভাবিক কাজ কর্মনিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকার লোকজন। পরিষদে নেই স্বাভাবিক কার্যক্রম, সেবাগ্রহীতারা দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে না পারায় জনগনের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে চেয়ারম্যান পলাতক থাকলেও কাউকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ লোকজন। তাদের দাবী অবিলম্বে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে ফেলে রাখা কাজ সম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয়রা জানান, বিগত জুলাই আন্দোলনের পর বানিয়াচং নাইন মার্ডার মামলার আসামী করা হয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুকে। মূলত এ মামলার পর থেকেই গ্রেফতারের ভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সে। মোবাইল ফোন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আটকে যায় পরিষদের স্বভাবিক কাজকর্ম। অনেকেই জন্ম নিবন্ধন, ইউনিয় পরিষদের নাগরিত্ব সার্টিফিকে, ওয়ারিশনা সনদ, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইলেসন্সহ প্রয়োজনীয় কাজ কতে ইউপি পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়ায় বিপাকে পরে সেবা নিতে আসা জনগন। ইউপি পরিষদের সদস্যরাও কোন ধরনের কাজকর্মে ভাটা পড়ে যায়। অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। অপর দিকে দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন না করায় চরম হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। সেবা গ্রহন করতে আসা লোকজন জানিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান খেলু গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে যে কারনে একটি জন্ম সনদ করতে কয়েকদিন আসলেও কাজ হচ্ছে না। চেয়ারম্যান এর সাক্ষর দিতে না পারায় আমার কাজ ঝুলে রয়েছে। এ ধরনের শতশত কাজ পড়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আজিজুর রহমান জানান, জনগণ কিভাবে চেয়ারম্যান এর সাক্ষর আনবে এটা তাদের বিষয়। আমাদের কিছূ করার নেই। তবে কারো জন্মসনদ, নাগরিত্ব সার্টিফিকে ও লাইসেন্সের প্রয়োজন হলে বাজারে চেয়ারম্যান সাহেবের দোকান ঘর আছে সেখানে দিয়ে আসলে কয়েকদিন পর ফেরত পাওয়া যায়। ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার জানান, চেয়ারম্যান কোন কারনে দীর্ঘদিন ধরে অফিসে না আসতে পাড়লে প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে কাজ চালানো হয় কিন্তু প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। জনগন অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের গালিগালাজ করছে। কোন ধরনের সেবা পাচ্ছে না স্থানীয় লোকজন। কারো কোন ধরনের কাগজ প্রয়োজন হলে চেয়ারম্যান সাহেবের দোকানে দিয়ে আসলে সপ্তাহ ১০ দিন পরে ফেরত পাওয়া যায় তবে এটি আসল কাগজ না নকল কাগজ বুঝা যায় না এবং কিভাবে কোথা থেকে আসে কেউ বলতে পারছে না। এ ব্যাপারে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিবির রঞ্জন তালুকদার জানান, সম্প্রতি সময়ে অনুপস্থিতির ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করা হবে। এবং প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।