স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ প্রার্থী পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাথী মুক্তাদির কৃষাণ চৌধুরী, বজলুর রশীদ দুলাল, নাজমুল ইসলাম বকুল ও মোঃ শহীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হলেও সেখানে সাইফুল ইসলাম রুবেলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম রুবেল চুনারুঘাট উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী আকল মিয়া হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে গ্রেফতার হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে রিমান্ড থেকে রেহাই পায়। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাইফুল ইসলাম রুবেল নৌকার পক্ষে কাজ না করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু তাহেরের আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করে। এই অপরাধে তাকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হলেও কেন্দ্রে প্রেরণকৃত তালিকায় তাকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, তাদের দলীয় পদ পদবী যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সাথী মুক্তাদির কৃষাণ চৌধুরী ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও ১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থাকলেও তাকে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা উল্লেখ করা হয়েছে। বজলুর রশিদ দুলাল জেলা যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হলেও তাকেও প্রবাসী নেতা উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় তার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার উল্লেখ করা হয়নি। নাজমুল ইসলাম বকুল ২ বছর যাবৎ চুনারুঘাট পৌর যুবলীগের আহবায়ক হলেও তাকে এক বছর পূর্বে যুবলীগে যোগদানকারী উল্লেখ করা হয়।
তারা আরও বলেন, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু তাহেরের স্বেচছাচারিতায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন। যার প্রতিবাদে তার আপন ভাই ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের পদত্যাগ করেছেন। তিনি মনোনয়ন চাইলেও আবু তাহেরের চাপে প্রার্থী হতে পারেননি। কেন্দ্রে প্রেরণকৃত তালিকার কপি মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের দেয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি তা গোপন করে রেখেছেন। আমরা এখনও তা পাইনি।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।