Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

নিজামপুরে ইমাম নিয়োগ নিয়ে যুবককে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুরে ইউনিয়নের সৈয়দপুরে ইমাম নিয়োগ নিয়ে সাহিদ মিয়া নামে এক যুবককে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আরো ১ যুবক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার ফকিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। এ ঘটনায় আহত সাহিদ মিয়ার মা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, ওই গ্রামের মকবুল হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগমের পরিবারের লোকজন এলাকায় মসজিদ নির্মাণের জন্য কিছু জমি দান করেন। পরবর্তীতে মসজিদ স্থাপন করার পর এলাকার রহম আলীর পুত্র দুলাল মিয়া, মৃত সোলেমান মিয়ার পুত্র ছোরাব আলীসহ একদল লোক কয়েকদিন পর পর তাদের ইচ্ছেমতো মসজিদের ইমাম পরিবর্তন করে যাচ্ছিল। দুলাল ও ছোরাবের স্বার্থপরিপন্থি কোন কাজ হলেই উল্লেখিতরা মসজিদের ইমাম পরিবর্তন করে পেলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে জমিদাতা মকবুল হোসেনের পুত্র সাহিদ মিয়াসহ অন্যান্যরা বাধা দেন। এতে সাহিদ মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দুলাল মিয়া, ছোরাব মিয়াসহ তাদের লোকজন। বুধবার রাতে সাহিদ মিয়া ও তার ভাই ওয়াহিদ মিয়া পাইকপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফকিরাবাদ নামক স্থানে পৌছামাত্র তাদের গতিরোধ করে দুলালের লোকজন। এ সময় তারা রামদা, দা, লোহার পাইপ, লাঠি সোঠা দিয়ে সাহিদ মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় তাদের শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা সাহিদ মিয়ার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোনসহ মুল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে হামলায় আহত সাহিদ মিয়ার অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সাহিদ মিয়ার অবস্থা আশংখাজনক। তার মাথায় প্রায় ৪০টির মতো সেলাই লেগেছে।
এদিকে ঘটনার পর গতকাল রাতে আহত সাহিদ মিয়া মাতা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে, একই গ্রামের রহম আলীর পুত্র দুলাল মিয়া, সোলেমান মিয়ার পুত্র ছোরাব মিয়া, ছোরব মিয়ার পুত্র সেলিম মিয়া, জিলু মিয়া, রুবেল মিয়া, সোহাগ মিয়া, আক্কাছ মিয়া, আফজল মিয়া, ভিংরাজ মিয়া, সুজন মিয়া, টেনু মিয়া ও হেলাল মিয়ার নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই জুয়েল সরকার জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।