Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

নবীগঞ্জে হেভেন খুনের ঘটনায় আসামীর পিতা আটক ॥ বাদীপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ॥ বিরূপ প্রতিক্রিয়া

এম এ বাছিত, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হিসেবে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষে নিহত হেভেন চৌধুরীর হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী মুছার পিতা খুরশেদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে পানিউমদা ইউপির রোকনপুর মেয়ের বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় মামলার বাদী মকবুল হোসেনের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন খুরশেদ মিয়া। এনিয়ে শহর এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে সহকারী পুলিশ সুপার নাজমূল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নয়মৌজাবাসীর তরফ থেকে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এনিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, উদীয়মান ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী হত্যার ঘটনায় ২ মার্চ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা মকবুল হোসেন চৌধুরী। আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক অভিযান ব্যর্থ হয়। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে শোক র‌্যালি, স্বারকলিপি ছাড়াও কয়েকদফা আল্টিমেটাম দেয় নয়মৌজার লোকজন। ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তনের জন্য একাধিক সোর্স নিয়োগ করেও আসামী গ্রেপ্তারে সফল হতে পারেনি পুলিশ। ১২ মার্চ মামলার প্রধান আসামী বহিস্কৃত ছাত্রলীগ আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এবং যুগ্ম আহবায়ক খুরশেদ আলম মফিজ হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন লাভ করেন। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানের নেতৃত্বে পুলিশ আসামী মুছার বোনের বাড়ী মহাসড়কের রোকনপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় মেয়ের বাড়ীতে উপস্থিত আসামীর পিতা শহরের পৌর এলাকার সালামতপুর গ্রামের খুরশেদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এ সময় সাথে থাকা মামলার বাদি মকবুল হোসেন চৌধুরীর অতর্কিত হামলায় খুরশেদ গুরুতর আহত হন বলে জানায় তার পরিবারের লোকজন। আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়। হাতেও মারাত্বক জখম রয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয় খুরশেদ মিয়কে। থানায় আটক খুরশেদ মিয়া ঘটনার জন্য মকবুল হোসেনকে দায়ি করেন। পুলিশের সামনেই হামলার অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনা নিয়ে শহর এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুইদফা তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে।
থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গতকাল রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার নাজমূল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত কাগজ থানায় এসেছে। আলোচিত মামলায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্র“য়ারী ছাত্রলীগের কমিটি এবং সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হেভেন চৌধুরী চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।