Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার ভিকটিম ও তার বোনকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুরে ধর্ষণ মামলা তুলে না নেয়ায় আবারো দুই বোনকে কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে লম্পট ও তার লোকজন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনা ঘটে। আহতরা হল মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের কন্যা নুরজাহান (৪০) ও তার ছোটবোন গুলবাহার (৩০)। লম্পটরা তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা জানান, ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত অনুমান ১২টার দিকে পাশের বাড়ির জমির আলীর পুত্র সাদ্দাম মিয়া ও তার সহযোগী একই গ্রামের সাবাস মিয়ার পুত্র ইয়াকুব আলী কৌশলে তাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় এক বোনের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তার হাত পা মুখ বেঁধে ফেলে রাখে সাদ্দাম ও ইয়াকুব। পরে অপর বোনের মুখ চেপে ধরে তারও হাত বেঁধে ফেলে। এরপর সাদ্দাম ও ইয়াকুব মিলে তাদের ধর্ষণ করে। লম্পটদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে এক বোন চিৎকার দিলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন হৈ হুল্লুর শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে ঘরের ভেতরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর থানায় বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষিতা একজনকে গভীর রাতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় সাদ্দাম ও ইয়াকুবসহ আরও ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে আসামীরা আত্মগোপন করে। সম্প্রতি পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালালে লম্পটরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় জমির আলীর পুত্র আজিজুর রহমান ও সাবাশ আলীর পুত্র ইয়াকুব আলীসহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুরজাহানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাধাঁ দিলে তাদেরকে কুপিয়ে ক্ষতিবিক্ষত করে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এস এম রাজু আহমেদ জানান, হামলার ঘটনাটি শোনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া পুর্বের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।