Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

ইনাতগঞ্জে ইউপি মেম্বার এবং তার নানা ও মামাত ভাইকে মিথ্যা অভিযোগে ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ ইনাতগঞ্জ ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগে ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, গত ১৭ মে তার মামা বৃটেন প্রবাসী নজরুল ইসলাম আমিন শাহকে একই ইউপির মৃত আকল মিয়ার ছেলে জসিম ও পার্শ্ববর্তী ইউপির কাজিরগাঁও গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে খালেদ এবং তাদের সহযোগী বানিয়াচং উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আমির উদ্দিন তাদের লোকজন নিয়ে নবীগঞ্জ থেকে রাত ৯টায় বাড়ীতে আসার সময় আগনা ও মাধবপুরের মধ্যেবর্তী স্থানে নজরুল ইসলাম আমিন শাহর গাড়ী গতিরোধ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করে মৃত ভেবে তার কাছ থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে প্রথমে তাকে নবীগঞ্জ হাসপাতালে পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলাকারীরা একই ইউনিয়নের গোলডুবা গ্রামের দিকে আত্মগোপনের জন্য গেলে জনতা ধাওয়া করে অস্ত্রসহ জসিম, মিফতাব ও আমির উদ্দিনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। খালেদসহ বাকীরা পালিয়ে যায়। ওই রাতেই উক্ত ঘটনায় বৃটেন প্রবাসী নজরুল ইসলাম আমিন শাহর স্ত্রী মাসেদা আক্তার বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতসহ ৫ জন নাম উল্লেখ করে জি আর ১৪৬/১৭ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা থেকে বাঁচার জন্য জসিম ও খালেদ ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন রকমের একের পর এক মামলা দিতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে গত ১০ অক্টোবর বানিয়াচং থানার দৌলতপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী সোনিয়াকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে কাজিগঞ্জ বাজারের ডাক্তার আকবর আলী (৫৩), ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমান (৪০) কাজিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেনকে আসামী করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ডাক্তার আকবর আলী ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমানের নানা এবং জাকির হোসেন মামাত ভাই। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় বাদিনী যে ঘরে বসবাস করত বলে মামলায় উল্লেখ করেছে তা মূলত নবীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগঞ্জ বাজারের পার্শ্বে নিজ আগনা কুড়ের পাড় গ্রামের পশ্চিম দিকে এবং কাজিরগঞ্জ বাজার নবীগঞ্জ রোডের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি সরাসরি দোলিয়া বিলে সংযুক্ত হয়েছে। কাজিগাঁও এবং আগনা গ্রামের পানি নিস্কাশনের একমাত্র খাল এটি। উক্ত দুই গ্রামের বর্ষাকালের ও বৃষ্টির পানি চলাচল করে এই খাল দিয়ে। কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত আকল মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন পূর্বে সরকারী খালটি দখল করে মাটি ভরাট করে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে টিনশেড মার্কেট নির্মাণ করে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে  গত ১৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ঘরটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুয়েল সাংমা একদল পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় নবীগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার অলি উল্লাহ নবীগঞ্জ থানার এস.আই সুজিত চক্রবর্তী, ইনাতগঞ্জ ভূমি অফিসের তহশিলদার আব্দুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদনে ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমান উল্লেখ করেন, সমাজে হেয় এবং হয়রানী করার জন্য ৫৩ বছরের নানা, ৪০ বছরের ইউপি সদস্য ও ৩০ বছরের ব্যবসায়ী নাতিকে সাথে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো। ঘটনার মূল হোতাদের ষড়যন্ত্রের উক্ত বিষয়টিকে তদন্ত করে ইউপি মেম্বার জিল্লুর রহমান তিনিসহ তার নানা এবং মামাত ভাইকে রক্ষা করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।