Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় খোয়াই নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের ত্রিপুরা থেকে বয়ে আসা খোয়াই নদীর শায়েস্তাগঞ্জ এলাকা থেকে পুরোদমে অবৈধভাবে উত্তোলন চললে। প্রতিদিন উত্তোলনকৃত কয়েকশ গাড়ী বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রের সদস্যরা। বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একাধিক গ্র“প তৈরী হয়েছে। এদের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে চরম উত্তেজনা চলছে। যেকোন সময় তাদের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খোয়াই নদীর নতুন ব্রিজের অদূর থেকে আলাপুর পর্যন্ত আব্দুস ছমেদ, শিহাব, আব্দুর রউফ, জুয়েল, সাহাব উদ্দিন, নজিমসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র পৃথক পৃথকস্থান থেকে অপরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলন করতে নদীর বাঁধ কেটে, নদীর ভেতরে ট্রাক্টর প্রবেশ করানো হয়। এতে নদীর বাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে। বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
প্রতিদিনের উত্তোলনকৃত বালু ট্রাক্টর ও ট্রাক যোগে তারা বিক্রি করছেন। এসব বালু বিক্রি করে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা হাতি নিচ্ছেন বলে ধারনা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এদিকে বালু উত্তোলন করতে না পারায় একটি গ্র“প সৃষ্টি হয়েছে। তারাও চায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে। কিন্তু বর্তমানে বালু উত্তোলনকারীদের ক্ষমতার কাছে তারা পেরে উঠতে পারছে না। এনিয়ে উভয় গ্র“পের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্কুল শিক্ষিকা আম্বিয়া বেগম বলেন, স্কুলে আসতে বালুবাহী ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি এর প্রতিকার চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজন কুমার সিনহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লীজ দেয়ার এখতিয়ার জেলা প্রশাসনের। তারপরও বিষয় আমি গুরুত্বসহকারে দেখছি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে লীজ নেই। অচিরেই জেলা প্রশাসন থেকে নিয়মনীতি মোতাবেক লীজ দেয়া হবে। তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।