Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

কালানজোড়ায় পাইপগানের গুলিতে ছাত্রসহ আহত ৭ ॥ হামলাকারী সৈয়দ জহির অস্ত্রসহ গ্রেফতার

এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ থেকে ॥ বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউরি ইউনিয়নের কালানজোড়া গ্রামে নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সৈয়দ জহির আহমদ (৩০) নামে এক যুবকের অবৈধ পাইপগানের গুলিতে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ও পিতা-পুত্রসহ অন্তত ৭জনকে আহত করেছে। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, এলাকার মেম্বার, সংরক্ষিত সদস্যাসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাকারী সৈয়দ জহিরকে অবৈধ পাইপগানসহ আটক করলেও তার সহযোগিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জহিরকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ওই গ্রামের মৃত সৈয়দ সাজিদুর রহমানের স্বামী পরিত্যক্তা কন্যা স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকা সৈয়দা ঝুনু বেগমকে

একই এলাকার বেতকান্দি গ্রামের সৈয়দ আলী আহমদের ছেলে সৈয়দ আমীন আহমদ বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনায় সৈয়দা ঝুনু বেগমের ভাই সৈয়দ জহির আহমদ স্থানীয় মুরুব্বী সৈয়দ জুবায়ের আহমদের নিকট বিচার প্রার্থী হয়। তারা বিষয়টি দেখে দেয়ার আশ্বাসও দেন। এদিকে সৈয়দ জহির ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় একটি মাজারের সামনে আমীনসহ তার কয়েকজন আত্মীয় স্বজন একটি সালিশ বৈঠকে বসেন। এ সময় জহির উপস্থিত হয়ে আমীনকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যেতে চাইলে উপস্থিত লোকজন বাধা দেন। এতে জহির ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে তার ঘরে চলে যায়। এবং ঘরে থাকা একটি অবৈধ পাইপগান নিয়ে উল্লেখিত স্থানে এসে অর্তকিতভাবে গুলি ছুরতে তাকে। এতে স্কুল ছাত্র, পিতা-পুত্রসহ অন্তত ৭জন গুলিবিদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে জনতা সম্মিলিতভাবে জহিরকে ধাওয়া করে। এতে জহির দৌড়ে তার বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। গ্রামের লোকজন তার বাড়ী ঘেরাও দিয়ে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা রাহেলা হক, ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম ঘটনাস্থলেণ ছুটে আসেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান কৌশলে সৈয়দ জহিরের নিকট থেকে অবৈধ পাইপগানটি উদ্ধার করেন। গুলিতে আহতরা হল, সৈয়দ জুবায়ের আহমদ (৪৮), তার ছেলে সৈয়দ রাসেল (২২), সৈয়দ উজ্জল মিয়া (২৮), সৈয়দ আমীন (৩০), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (৩২), স্বরাজ মিয়া (৫০) ও স্থানীয় বক্তারপুর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সৈয়দ রেদোয়ান আহমদ (১৫)। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার এস আই এস এম ফিরোজ আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জহিরকে অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার এস আই এস এম ফিরোজ আহমদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে জহিরকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।