Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

মাধবপুরে মনিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে প্রেমিক

রিফাত উদ্দিন,মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুর পৌরসভার কাটিয়ারা গ্রামের বিধবা মনি রানী দাসের হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক প্রেমিক মনোরঞ্জন দাস। শুক্রবার ভোর রাতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশীষ কুমার মৈত্র কল লিষ্টের সুত্র ধরে ঘাতক কাটিয়ারা গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে মনোরঞ্জনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
বিকালে ঘাতক মনোরঞ্জনকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাউছার আলমের আদালতে হাজির করলে ঘাতক ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে খুনের বিবরন দেয়।
ঘাতক মনোরঞ্জন দাস স্বীকারোক্তিতে বলেন, প্রায় ৬/৭ বছর আগে কাটিয়ারা গ্রামের মৃত সুতাংসু দাসের স্ত্রী মনিবালা দাসের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক তৈরী হয়। এক সময় তাদের মধ্যে শাররীক সর্ম্পক তৈরী হয় এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার শালিসও হয়। প্রায় বছর দেড়ের আগে আবারও তাদের বিরুদ্ধে শালিস বৈঠক বসে। ওই শালিসে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর পর থেকে মনোরঞ্জন স্ত্রী ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে মনিবালাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। কিন্ত মনিবালা তাকে ছাড়তে না রাজ। তাই সে মনিবালাকে খুন করার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক ৫ ফেব্র“য়ারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মনিবালাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের এলাকার একটি ঝুপড়িতে নিয়ে মনির পরনের কাপড় প্যাচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মনিবালার মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে পানিতে ফেলে দেয়। সেই সাথে তার ব্যবহৃত সিমটিও ভেঙ্গে ফেলে। গত ১৩ ফেব্র“য়ারি স্থানীয় লোকজন হাসপাতাল এলাকায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরদিন নিহতের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করে।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আলোচিত এ হত্যাকান্ডের রহস্য পুলিশ উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।