চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ গাঁজার চালান আটকের ঘটনা নিয়ে চুনারুঘাটের চাঞ্চল্যকর সোনাই মেম্বার হত্যা মামলার আসামী ও বাদি পক্ষের লোকজনের মাঝে দু’দফা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ অক্টোবর রাত প্রায় ১০ টায় গুইবিল সীমান্তের সাদ্দাম বাজারে। আহতদেরকে চুনারুঘাট ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, ২২ অক্টোবর সাদ্দাম বাজার থেকে তোষকের ভেতরে করে গাঁজা পাচারের সময় গুইবিল সীমান্ত ফাঁড়ির জোয়ানরা বিপুল পরিমান গাঁজা আটক করেন। এনিয়ে ইকরতলী গ্রামের সোনাই মেম্বার হত্যাকান্ডের আসামী ছিদ্দিকের পুত্র আহাদের সাথে মামলার স্বাক্ষী তাজুলের নতুন করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গাঁজা আটকের ব্যাপারে তাজুলকে দায়ী করে আহাদ। রাতে সাদ্দাম বাজারে এ নিয়ে আহাদ ও তাজুলে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় তাজুল ইসলাম (৩০), শানু মিয়া (৪৫), সাজল মিয়া (৩৮), মাসুক মিয়া (২০), আনু মিয়া (৪০) ও আঃ হাই (৩৫),রহমান (২৫) আহত হন। এ ঘটনায় উভয় গ্র“পের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনার জের ধরে উভয় গ্র“পের মাঝে আবারো সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে সোনাই হক্যাকান্ডের আসামী ছিদ্দিক আলী (৫০), রিয়াদ (২৫), মনা (২৮) আহাদ (৩০) আহত হন। গুরুতর আহত তাজুল ও রহমানকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রহমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারী গাজীপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য সোনাই মিয়া মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ী যাবার পথে আততায়ীরা কুপিয়ে খুন করে মোটর সাইকেলসহ মরদেহ পাশের ধলকী বিলে পুঁতে রাখে। পরদিন ধলকীবিল থেকে সোনাইর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে নথিভুক্ত হয়। সোনাই মেম্বারের ভাই মানিক মিয়া বাদি হয়ে ছিদ্দিক, তার ছেলে রিয়াদ, মনা, আহাদসহ ১২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ী চলে আসে।