Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

হবিগঞ্জে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট সনাক্ত ॥ ৩ চোর আটক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সিলেট থেকে আন্তজেলা চক্রের ৩ চোরকে আটক করা হয়েছে। এর আগে হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার আব্দুল হক নামে এক চোরকে আটক করা হয়। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে বেরিয়ে আসে চোর সিন্ডিকেটের তথ্য। পুলিশ জানা যায়, গত ২৩ মে রাত অনুমান ৯টায় বানিয়াচং উপজেলার নয়া পাথারিয়া গ্রামের জনৈক হাফেজ মোঃ ফজলুল হক তালুকদার, তার ভাগিনা মোঃ রিয়াদ আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা তার স্ত্রীকে দেখার জন্য যান। তিনি হাসপাতালের সামনে মোটরসাইকেলটি পার্কিং করে স্ত্রীকে দেখে রাত অনুমান ১০.৪৫ দিকে নিচে এসে দেখেন যে পার্কিং স্থানে তার মোটরসাইকেলটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তিনি মোটরসাইকেলটি না পেয়ে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে বুঝতে পারেন যে, আসামী আব্দুল হক (৩০) ও রিপন মিয়া (২৮) উক্ত মোটরসাইকেলটির লক ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে গেছে। তখন তিনি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) সুকোমল ভট্টাচার্য্য আসামী আব্দুল হক’কে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উমেদনগর এলাকা হতে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা মোটরসাইকেলটি পলাতক আসামী রিপন ও লাদেনের সহযোগিতায় সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানা এলাকায় আসামী হোসিয়ার আলীর নিকট বিক্রয় করেছে মর্মে তথ্য প্রদান করেন এবং বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। প্রাপ্ত তথ্যানুসারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী হোসিয়ার আলীকে গ্রেফতার করে গত ২৪ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। আসামী আব্দুল হক ও হোসিয়ার আলীর দেয়া তথ্য মতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গোলাপগঞ্জ উপজেলার লণাবন্দ গ্রামের মোঃ শামছুল ইসলাম (২১), দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর গ্রামের মৃত আওলাদ হোসেনের পুত্র রাফাত হোসেন রাফি (২২), জৈন্তাপুর উপজেলার ঘিলারতল গ্রামের সবু মিয়ার পুত্র রুহেল আহমদ বাবু (২৪), কে গত ২৬ জুলাই অভিযান পরিচালনা করে গোলাপগঞ্জ থানা ও সিলেট শহরস্থ তালতলা থেকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের হেফাজত হতে চোরাই যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেন। আসামীরা ঘটনার বিষয়ে স্বীকারও করেছে এবং তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত সকল আসামীরা মোটরসাইকেল চুরির সংড়ঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা একে অপরের সহযোগিতায় চোরাইলব্ধ মোটরসাইকেল দ্রুত হাত বদল করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।