স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলামের ফেসবুক আইডি’র হুবহু ‘ফেক মেসেঞ্জার চ্যাট’ দিয়ে এক তরুনীকে হুমকীর অপরাধে আল নেহাল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। আটক নেহাল হবিগঞ্জ শহরতলীর এড়ালিয়া গ্রামের তৌহিদ ইসলামের পুত্র। আটক নেহাল জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে বিবাড়িয়ার মিলি নামে এক মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জের ধরে মিলি হবিগঞ্জে তার লোক রয়েছে, তাদের দিয়ে তাকে মারধর করবে বলে হুমকী দেয় নেহালকে। এতে নেহাল ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সে স্থির করে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে মেয়েটিকে হুমকী দেবে। এরই অংশ হিসেবে হবিগহঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই পরিচালক মোতাচ্ছিরুল ইসলামের ফেসবুক প্রোপাইল থেকে ছবি নিয়ে সফটওয়ারের মাধ্যমে ‘ফেক মেসেঞ্জার চ্যাট অ্যাপস’ ডাউনলোড করে। পরে ফেক মেসেঞ্জার-এ মোতাচ্ছিরুল ইসলামের নামে চ্যাট করে মেয়েটিকে হুমকী দিয়ে স্কীন সর্ট দিয়ে মেয়েটির ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তা পাটিয়ে দেয়।
মিলি নামের মেয়েটি হুমকী সরূপ ম্যাসেজ পেয়ে হবিগঞ্জের ইমরান নামে মোতাচ্ছিরের এক ফেসবুক এর সাথে যোগাযোগ করে মেসেজের কথা জানিয়ে মোতাচ্ছিরুল ইসলামে সম্পর্কে জানতে চায়। ইমরান বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম হতবাক হয়ে উঠেন। পরে মেয়েটির নিকট থেকে নম্বর নিয়ে ফোন দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে কৌশলে নেহালকে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সে স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। পরে থাকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ঘটনাটি ধরা পড়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলেন, একটি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। হয়তো বড় ধরনের বিপদে পড়তাম।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, যুবককে থানায় আনা হয়েছে। ছেলেটির বক্তব্য সঠিক কি-না তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।