Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

চুনারুঘাটে মা-মেয়েকে যেভাবে ধর্ষণ করে ৩ যুবক-আদালতে স্বীকারোক্তি

নুরুল আমিন, চুনারুঘাট থেকে ॥ মা-মেয়ের পুর্ব পরিচিত ধর্ষক শাকিল। মাঝে মাঝে সে ওই বাড়িতেও যাতায়াত করতো। মেয়েটির বাবা এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে মারা গেছেন ৬/৭ বছর পুর্বে। পুত্রটি এখন রেল বিভাগে চাকরি করেন। মা এবং মেয়ে একাই থাকেন রশিদপুর বন বিটের পাশে অবস্থিত গরমছড়ি নামক গ্রামে। মেয়েটিকে ৪/৫ বছর পুর্বে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সংসার টিকে নি। তাই মায়ের কাছেই সে বসবাস করে আসছে স্বামী পরিত্যক্তা অবস্থায়। কি ভাবে মা-মেয়েকে ধর্ষন করা হয়েছে পুলিশ ও আদালতে এর বর্ননা দিয়েছে ধর্ষক শাকিল (২২) ও হারুন (২৫)। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে এরা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক ধাম জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার বেলা ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত নির্যাতনের মা-মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর দুপুর ১টা থেকে পৌণে ৩টা পর্যন্ত গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার শাকিল আহমেদ ও হারুন মিয়া তাদের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
শাকিল বলেছে, ধর্ষিতা মা-মেয়ের সাথে সে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশ চেষ্টা তদবীর করে। এ সুবাধে মাঝে মধ্যে সে জঙ্গলঘেরা ওই বাড়িতে যাতায়াত করতো কিন্তু তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে নি। তাই বন্ধুদের নিয়ে একযোগে ধর্ষণ করার বুদ্ধি আঁটে শাকিল। ঘটনার দিন বন্ধু হারুন ও অপর বন্ধু যে কিনা এখনো পলাতক তাদেরকে সাথে নিয়ে এরা প্রথমে স্থানীয় একটি মাজারে যায়। এখানে হাত মুখ ধৌত করে ফ্রেস হয়ে এরা রাত প্রায় ১০ টার সময় স্বামীহারা মা ও স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের বাড়িতে যায়। এরা প্রথমে নানান ধরনের গল্প-স্বল্প করতে থাকে মা-মেয়ের সাথে। এক সময় পার্টিশনের ওপাশে গিয়ে মেয়েটি মোবাইল টিপছিলো। রাত গভীর হলে দুই বন্ধু যায় মেয়ের পাশে। অপর যুবক চলে যায় মায়ের কাছে। ধর্ষকরা মা ও মেয়ের হাত বেঁধে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে এরা মেয়ের মোবাইলটি নিয়ে আসে যাতে তাৎক্ষনিক ধর্ষণের বিষয়টি কেউ জানতে না পারে। ধর্ষণ শেষে ৩ ধর্ষক চলে আসে নিজ গ্রাম জীবধরছড়াতে। রাত পোহালে বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মগোপন করে ধর্ষনকারীরা।
ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম জানান, ২ অক্টোবর রাতে ঘটে ধর্ষণের এ ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মামলার আলামত উদ্ধার করে। ধর্ষকদের আটক করতে সোর্স নিয়োগ দেয় পুলিশ। এক সময় ধরা পড়ে শাকিল ও হারুন। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা ধর্ষণের ঘটনা অকপটে স্বীকার করে। অপর পলাতক আসামীকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধর্ষক শাকিল (২২) এর বাবার নাম আঃ সহিদ। হারুনের (২৫) বাবার নাম আঃ রেজাক। উভয়ের বাড়ি রানীগাও ইউপি’র জিবধরছড়া গ্রামে। সোমবার ধর্ষকদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। এরা ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম। তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।