Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

রাজিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত চক্রান্তকারী মহল

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৬নং রাজিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আহমেদ শেখ কামালের বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। তার উন্নয়ন কাযৃক্রম বিশেষ করে করোনার কান্তিকালেওসাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করায় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামাল একজন নিরীহ ও নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি দিন রাত সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে একটি কু-চক্রী মহল ইর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যেন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। একের পর এক দায়ের করছে মিথ্যা অভিযোগ। ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবরে ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবদাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার বড় বোন মৃত রহিমা খাতুনের নামে তিনি চাল তুলে আত্মসাত করছেন এবং কার্ড দেয়ার নাম করে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। চেয়ারম্যান বলেন, সম্পুর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। প্রকৃত পক্ষ এখানে চেয়ারম্যান শেখ কামালের কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। মূল ঘটনা হল ভিজিডি’র কার্ড প্রত্যেক ওয়ার্ড মেম্বারদের সম্বয়ে করা হয়েছে। এখানে যদি কোন ঘাটতি থেকে থাকে তা হলে এর জন্য মেম্বার দায়ী হতে পারে। তবে বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এখানে চেয়ারম্যানকে সংশ্লিষ্ট করেছে। যা অদৌ সত্য নয়।
চেয়ারম্যান শেখ কামালের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগেও পরে রাজিউড়া ইউনিয়নের এক মেম্বারকে গুম ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তা ভিকটিম নিজেই হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যানের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান।
গতকাল বুধবার দৈনিক লোকালয় বার্তা পত্রিকায় চেয়ারম্যান মেম্বারদের বক্তব্য লেজে গোবরে ‘বাজিউড়ায় ভিজিডি’র চাল গেল কোথায়’ শিরোনামে একটি সংবাদ সংবাদ প্রকাশিত হয়। চেয়ারম্যান এনামুল হক আহমেদ শেখ কামাল বলেন, যা আদৌ সত্য নয়। প্রকৃত পক্ষে গত ২৮ জুলাই হবিগঞ্জ লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ আসনের এমপি আলহাজ্ব এডভোকেট আবু জাহিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভিজিএফের চাল ১৮১২ জন সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও জিআর-এর চাল ১০ কেজি করে ৪শত জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ২৯ জুলাই ভিজিডির চাল ১শত ৭৯ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। যা ২৮ জুলাই উত্তোলন করা হয়।
রাজিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আহমেদ শেখ কামাল জানান, তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত সততা ও আদর্শের সাথে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনায় অসুস্থ থাকার পরও জনগণের পাশে রয়েছি এবং নিয়মিত অফিসে যাচ্ছি। এছাড়াও তিনি চেয়ারমান নির্বাচিত হবার পর ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্টসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। তারপরও কিছু দুস্কৃতিকারী তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করিয়াছে। যা মানহানিকর। তিনি বলেন, আমি আমার দায়িত্বকালীন সময়টুকু মানুষের সেবায় কাজ করে যেতে চাই।