Habiganj Express | হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

বানিয়াচঙ্গের “রেড কিং” এর ওজন ৩৭ মন ॥ মালিক দাম চাচ্ছেন ১৫ লক্ষ টাকা

মখলিছ মিয়া, বানিয়াচং থেকে ॥ ঈদুল আযহার কোরবানির পশুর হাটে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে “রেড কিং”। সাড়ে চার বছর বয়সের এই ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট। ওজন হবে ৩৭ মন। যদিও এখন পর্যন্ত বাজারে নেয়া হয়নি তবুও লাল রংয়ের এই ষাড়টির মালিক দাম চাচ্ছেন ১৫ লক্ষ টাকা। বানিয়াচং উপজেলার শেখের মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট গোলাম ওয়াহেদ মিয়া এই ষাঁড়টির মালিক। শাহী ওয়ান ও ফ্রিজিয়াম জাত থেকে শংকরায়নের মাধ্যমে নিজস্ব খামারে উৎপাদিত এই ষাঁড়টির পরিচর্যার জন্য খরচ বাবত প্রতিদিন ৫শ টাকার প্রয়োজন হয়। রেড কিংয়ের দৈনিক খাবার তালিকায় রয়েছে ভূষি, ডাল, খুদের জাউ, কাচা ঘাস ও খড়। গত ঈদুল আযহায় রেড-কিং ষাঁড়টি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হলেও গতবার কোরবানির হাটে উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ার কারনে বিক্রয় করা হয় নি। স্থানীয় বাজারে চাহিদা না থাকায় ষাঁড়টিকে সিলেট পশুর হাটে নেওয়া হলেও বিক্রয় করা যায়নি। এ বৎসর রেড কিং ষাঁড়টিকে ঢাকার পশুর হাটে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাধারা করছেন এর মালিক। ষাঁড়টির মালিক জানান, গতবার বিক্রয় না হলেও সমস্যা ছিলনা। কিন্তু এই বৎসর ষাঁড়টি উপযুক্ত মূল্য পেলে বিক্রয় করতে হবে। কারন প্রতিদিনকার খরচ করে আর পোষাচ্ছে না। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টিকে উৎপাদন করায় এর মাংস হবে সুস্বাদু এবং নিরাপদ। তিনি আরো জানান, ষাঁড়টি আমার ঘরের গরু থেকে শংকরায়নের মাধ্যমে উৎপাদন করেছি। ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়াচ্ছি। ষাঁড়টির মাংস হবে সব ধরনের ভেজালমুক্ত। উপযুক্ত দাম পেলে ষাঁড়টি বিক্রয় করে ফেলব। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুমন দাশ বলেন, রেড-কিং ষাড়টির মাংস ভাল হবে। নিরাপদ হবে। কারন এটি সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে। ষাঁড়টির মালিকের নাম্বার দেওয়া হলো আগ্রহীগণ প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১০-৬০৮৪৫৭।