বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন ইউসুফ পদত্যাগ করেছেন। গতকাল তিনি তার মালিকানাধিন হাজী চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশনের অফিসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান, সেলিম, মামুন, কাওছার, ইউসুফ, বালাম, বাসির, আব্দুল্লাহ, আশিক, পাবেল, তারেক, চেরাগ, সোহাগ, রূপ, সোহেল, হামিদ, ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদ আজম, ফয়সল, সোহাগ, রাজু, মাহিন, সাজন, রায়হান, রুমেন, কাওছার, আমিনুল পাপন, রমজান, আল-সায়েম শাকিল, হেলাল, রাসেল, নুনু, হিরণ, বশির, আথিমক, উজ্জ্বল, রুমান, আছলাম, সুজন, রাসেল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আ.ফ.ম বাহাউদ্দনি ইউসুফ বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শের মুজিব সৈনিক। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাহুবল উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। পরবর্তীতে হঠাৎ করে যুবলীগের একটি আহ্বায়ক কমিটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। আমাকে বাহুবল উপজেলা যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে। জেলা কমিটিকে পাশকাটিয়ে আমি যুবলীগ করতে চাই না। যা দলের শৃংখলা ভঙ্গের সামিল। হাজী চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশন, রূপালী ও রবিন ব্রিকস-এর সত্ত্বাধিকারী আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন (ইউসুফ) আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যেখানে শৃংখলা থাকে না সেখানে দল করে দলকে সুসংগঠিত করা যায় না। বরং দলে কোন্দল, উপ-দল সৃষ্টি হয়। যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের পরিপন্থী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এ পরিস্থিতিতে আমি সাংবাদিক বন্ধুদের সামনে হাজির হয়ে যুবলীগের সকল কর্মীদের সামনে স্বেচ্ছায়, অন্যের প্ররোচনা ব্যতিরেখে স্বঘোষিত বাহুবল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
তিনি বলেন, যুবলীগের পদ ব্যবহার করে যারা রাতের আঁধারে অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য করে যাতে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। আমি তাদের ঘৃণা করি।
লিখিত বক্তব্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইউসুফ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসাবে আজীবন আওয়ামীলীগের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে দলকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করব।