নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জের নিহত সাংবাদিক কামরুল হাসান আলীম ও গজনাইপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান (৩) মোছাঃ সাফিয়া ইয়াছমিনের ছোট ছেলে সামি চৌধুরী তুহিন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্তগ্রামের ফুটবল খেলার মাঠে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক আলীম হত্যার পর তার স্ত্রী সাফিয়া ইয়াসমিন ২ ছেলে ১ মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়ি উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্তগ্রামে বসবাস করছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে আলীমের ছোট ছেলে সামি চৌধুরী তুহিনকে ফুটবল খেলার জন্য ডেকে নেয় একই গ্রামের সাদ্দিক মিয়ার ছেলে রিদয় মিয়া। সেখানে কথা কাটাকাটির জের এক পর্যায়ে রিদয় মিয়াসহ ৫/৬ জন একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তুহিন (১৬) এর উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের মারপিটে তুহিন ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে পেলে। এরপর স্থানীয় লোকজন তুহিনকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসলে হামলাকারীরা সেখানেও হামলা চালায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তুহিনকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতোপূর্বেও তুহিনের মামার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান। গতকালের হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে দাবি করছেন তুহিনের মা সাফিয়া ইয়াসমিন। এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।